
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
ক্রিকেট খেলে অর্থোপার্জন হতো না বাবার: সোহা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
-67f8beb52b84b.jpg)
ছবি:সংগৃহীত
আরও পড়ুন
পতৌদি পরিবারের নবাব মনসুর আলি খান পতৌদি ছিলেন ভারতের একজন নামকরা ক্রিকেটার। ষাটের দশকেই মূলত ক্রিকেটের ময়দান কাঁপিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময় তো আইপিএলের মতো টুর্নামেন্ট ছিল না। আর ছিল না বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জনের সুযোগও। সে কারণে সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল পতৌদিপত্নী শর্মিলা ঠাকুরকে। আর সেই আক্ষেপই জানালেন মনসুরকন্যা বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খান।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে পতৌদিকন্যা বলেন, আমার বাবা ছিলেন তারকা ক্রিকেটার। ১৯৬০-এ আইপিএল ছিল না। বাবা শুধু ভালোবেসেই ক্রিকেট খেলতেন। তখন অর্থ উপার্জন হতো না ক্রিকেট থেকে। বিজ্ঞাপন থেকেও উপার্জনের সুযোগ ছিল না। তাই মাকে আমাদের সংসার চালানোর দায়িত্ব নিতে হয়েছিল।
আগামী সিনেমা ‘ছোরি ২’-এর প্রচারে ব্যস্ত সোহা আলি খান। প্রচার অনুষ্ঠানেই অভিনেত্রীর কাছে সাংবাদিকরা তার রোল মডেলের বিষয়ে জানতে চাইলে জবাবে বাবা মনসুর আলি খানের কথা বলেন।
অভিনেত্রী বলেন, আমার বাবার সঙ্গে মায়ের (শর্মিলা ঠাকুর) বিয়ে হয় মাত্র ২৪ বছর বয়সে। সেই সময় বিয়ের পর এক নারীর পক্ষে সংসার ও অভিনয় একই সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন ছিল। তারপর বিয়ের দুবছরের মধ্যেই মায়ের প্রথম সন্তান হয়। সবটা সামলে কাজ চালানো কঠিন ছিল। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য মাকে সেই সময় কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
সোহা বলেন, আমার বাবা চিরকালই মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলতেন। তার থেকে অর্থ উপার্জন হতো না। এরপর যখন আমি জন্মাই, তখন বাবা ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
তিনি বলেন, আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না, সেই সময় আমাদের সংসারে যথেষ্ট দারিদ্র্যতা ছিল। তখন মা একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন। তাই মাকেই সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়।
অভিনেত্রী বলেন, এত অসুবিধার মধ্যেও বাবা সবসময় মাকে বলতেন— তোমার যা করতে ভালো লাগবে সেটাই করবে। আর বাবার এই গুণটাই আমার সবচেয়ে পছন্দের ছিল। তাই বাবাকে সারাজীবন রোল মডেল মানি এবং মানব।
তিনি বলেন, আর মাকে তো সারাজীবন দেখছি, তিনি কাজ করে চলেছেন। তাদের দেখেই নিজের জীবনের চলার পথ ঠিক করেছি।