
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১১ এএম
১০ বছর একসঙ্গে, বিয়ে সম্পর্কে যা বললেন অভিনেত্রী

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

আরও পড়ুন
২০১৩ সালে 'ওপেন টি বায়োস্কোপ' ছবিটি অভিনয় করতে গিয়ে পরিচয় হয় ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই পরিচয় প্রেমে গড়ালো দুই বছর পর।
ঋদ্ধির কথায়, ঢাকা কালীবাড়ির কাছে একটা জায়গায় আমাদের লুক সেট হয়েছিল। খুব গম্ভীর মুখ করে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ছবি তুলেছিলাম। কিন্তু প্রেম হয়নি সেই সময়ে। কথাবার্তা হত, ভালো বন্ধুত্ব ছিল। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়।
এরপর শুরু হয় চিঠি লেখালেখি। চিঠি লিখে একটা বইয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে সুরঙ্গনার কোচিং ক্লাসের সময় দিয়ে আসেন ঋদ্ধি। তখন দুজনেই দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করছিলেন। সম্পর্কের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছে তাদের বন্ধুত্বও। কোনও ইগোর দ্বন্দ্ব, ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া পার করে দিয়েছেন ১০ বছর। এতদিন সম্পর্কে থেকে যাওয়াটা বড় ব্যাপার বলেই মনে করেন ঋদ্ধি। একে অপরের স্বভাব পাল্টাতে চান না তারা। পরস্পরের প্রতি রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা।
দীর্ঘদিন এক সঙ্গে থাকার পর বিয়ে করা প্রসঙ্গে ঋদ্ধি জানালেন, “সুরঙ্গনা বলল, বিয়ের মানেটা কী? এটা কি একটা এনজেগমেন্ট রিং, সই, মালাবদল? এতে কী প্রমাণ হয়? আমরা যে একসঙ্গে আছি, এখন যেভাবে আছি এটা কি যথেষ্ট নয়?”
ঋদ্ধির কথায়, “একসঙ্গেই তো থাকি। এত বছর আছি। এখনও যে সম্পর্কটা অফিশিয়াল নয়, সেটাই বা কে বলতে পারে?”
অভিনেত্রী জানান, ‘আমরা একসঙ্গে আছি, ভালো আছি। সবকিছুর আগে তো আমাদের সম্পর্কের মজবুত ভিতটা বন্ধুত্ব, সেটা আমরা এনজয় করি প্রতি মুহূর্তে। আলাদা করে স্বীকৃতি নিয়ে কোনও যুগেই ভাবিনি। তকমায় আমরা দু’জনেই বিশ্বাসী নই। শুধু এইটুকু বিশ্বাস করি, একসঙ্গে আছি, ভালোবাসায় আছি। এই মুহূর্তের লক্ষ্য শুধু কাজ। দু’জন ক্রিয়েটিভ মানুষ এক জায়গায় আছি, সুতরাং যা করব ভালোই করব।’
অভিনেত্রীর আরও জানান, ‘আসলে আমি ছোট থেকে মা, বাবাকে পর্দায় কাজ করতে দেখেছি। তাই বাড়ির ভিতরকার লড়াইটা আমায় কখনও লড়তে হয়নি।
তিনি আরও জোড়েন, ‘আসলে এত বছর তো দেখছি, সমাজের সেলিব্রিটি ট্রোলিংয়ের সঙ্গে এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।’ কী রকম? সুরঙ্গনা বলেছেন, ‘আমরা যারা পর্দার ওপারের মানুষ, তাঁদের তো প্রতি পদক্ষেপ ভেবে ফেলতে হয়, না হলেই ট্রোল্ড হয়ে যাব। যতই আমরা ভাবি আমাদের কিছু এসে যায় না, তবু আমরা তো মানুষ। পরিবার আছে, তারাও তো অ্যাফেক্টেড হতে পারে। তারকা মানেই তো আমাদের মন নেই তা নয়, খারাপ তো লাগেই।’