Logo
Logo
×

বিনোদন

জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড নিউজিন্সের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা

খালিদ হাসান

খালিদ হাসান

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম

জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড নিউজিন্সের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা

দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কেপপ ব্যান্ড নিউজিন্সকে স্বাধীনভাবে সংগীত বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে নিষেধাজ্ঞা দিল দেশটির একটি আদালত। অ্যাডর লেবেলের (সঙ্গীত কোম্পানি) সঙ্গে  দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধের পর আদালত এই রায় দেয়। 

শুক্রবার সিউল সেন্ট্রাল জেলা আদালত রায়ে জানিয়েছে, ব্যান্ডের নিজেদের নাম পরিবর্তন এবং অ্যাডর লেবেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা লেবেলের সুনামের ওপর ‘গুরুতর ক্ষতি’ করতে পারে।

পাঁচ সদস্যের নিউজিন্স-এর দলটি সম্প্রতি নিজেদের নাম এনজেড হিসেবে পুনঃব্র্যান্ডিংয়ের ঘোষণা দিয়েছে এবং অ্যাডরের সঙ্গে তাদের চুক্তিকে বাতিল ঘোষণা করেছে। ব্যান্ডের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, অ্যাডর তাদের সঙ্গে ‘প্রতারণা’, ‘ইচ্ছাকৃত ভুল বোঝাবুঝি’ এবং কর্মক্ষেত্রে হয়রানির মতো আচরণ করেছে।

অন্যদিকে অ্যাডর এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, নিউজিন্স এখনো তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এ কারণে ব্যান্ডের সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির অনুমতি ছাড়া কোনো বিনোদনমূলক কার্যক্রম চালাতে পারবে না। 

সিএনএনকে এক বার্তায় অ্যাডর জানিয়েছে, নিউজিন্সের বেশিরভাগ অভিযোগই ভুল বোঝাবুঝি থেকে উদ্ভূত।

গত বছরের নভেম্বর থেকে এই আইনি লড়াই দক্ষিণ কোরিয়ায় তুমুল আলোচিত। তখন নিউজিন্সে একটি আবেগপ্রবণ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল, তারা অ্যাডরের সঙ্গে তাদের চুক্তি বাতিল করছে। গত মাসে ব্যান্ডটি তাদের নতুন নাম এনজেড ঘোষণা করে। 

সেসময় ব্যান্ডটির সদস্য ফাম নক হান (হান্নি) বলেছিলেন, ‘এই কঠিন সময়কে আরও রোমাঞ্চকর কিছুতে রূপান্তর করার একটা উপায় এটা।’

নিউজিন্স ২০২২ সালে ‘অ্যাটেনশন’ গান দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার চার্টে শীর্ষে উঠে আসে এবং পরে আন্তর্জাতিকভাবে সফলতা পায়। ব্যান্ডটির হিট গান ‘সুপার সাই’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ড ২০০-তে প্রথম স্থানে পৌঁছেছিল।

ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- হেরিন (কাং হেরিন), মিনজি (কিম মিনজি), হেইন (লি হে-ইন), এবং ড্যানিয়েল (ড্যানিয়েল মার্শ)। সবাই ২১ বছরের নিচে।

তাদের এই লড়াই কেবল ভক্তদের কাছেই নয় বরং পুরো কোরিয়ান সংগীত ইন্ডাস্ট্রির কাছেও গভীরভাবে নজরকাড়া।

গত মাসে কোরিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব কোরিয়া-সহ পাঁচটি বড় সংগীত সংগঠন যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ‘ট্যাম্পারিং’ (যেখানে বাইরের পক্ষগুলো এজেন্সিকে পাশ কাটিয়ে শিল্পীদের সঙ্গে সরাসরি ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলে) এর নিন্দা জানায়।

তারা নিউজজিনসের স্বাধীন কার্যক্রম-এর প্রসঙ্গ তুলে এই চর্চার বিরুদ্ধে কড়া নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানায় এবং নির্দিষ্ট কিছু ‘এজেন্সি ও শিল্পীদের’ বিরুদ্ধে জনমত প্রভাবিত করার অভিযোগ আনে।

শুক্রবার প্রাথমিক শুনানির আদালত এই রায় ঘোষণা করে। যদিও ব্যান্ডের প্রতিটি সদস্য আদালতে গিয়ে নিজেদের অভিযোগ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন।অ্যাডর  এর পাল্টা যুক্তি ছিল, ব্যান্ডের সফলতা সম্ভব হয়েছে কেবল তাদের বিনিয়োগের কারণে।

ব্যান্ডটি আদালতের এই প্রাথমিক রায়কে সম্মান জানালেও বলেছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাবে এবং অতিরিক্ত আইনি প্রমাণ পেশ করবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম