
বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মোহনীয় চেহারা যে শুধু দশর্ক মনে দোলা দিতো, তা নয়। বলিউড অভিনেতা থেকে শুর করে অনেক প্রযোজক-পরিচালকও তার প্রেমে হাবুডুবু খেতেন।
বলিউডে অভিষেকের আগে শ্রীদেবী কাজ করেছেন বেশ কিছু দক্ষিণী সিনেমায়। সফলতাও পেয়েছেন ব্যাপক।
বলিউডে অভিষেকের কয়েক বছর পরই তিনি জিতেন্দ্রর সঙ্গে একের পর এক ছবি করেন, আর তখনই বলিউডে রটে যায় তাদের প্রেমের গুঞ্জন। এমনকি শুটিংয়ের সময় তারা একসঙ্গে হোটেলের একই রুমে থাকতেন বলেও শোনা যেত। তবে জিতেন্দ্রর সঙ্গে নয়, পরবর্তীতে বরং বাঙালি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে শ্রীদেবীর প্রেমের গুঞ্জন আরও বেশি আলোচিত হতে থাকে। বলিউডে তাদের গোপনে বিয়ে করার কথাও প্রচলিত ছিল।
মিঠুন ও শ্রীদেবীর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে বিভিন্ন বিদেশি শোতে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে। তখন মিঠুন ছিলেন অভিনেত্রী যোগিতা বালির স্বামী এবং তাদের দুই সন্তান ছিল—মিমো ও নমশী।
যদিও মিঠুন-শ্রীদেবী সম্পর্কের কথা বারবার গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দেন। তবে পরে এক পত্রিকায় তাদের ‘ম্যারেজ সার্টিফিকেট’ প্রকাশিত হলে মিঠুন নাকি সম্পর্কের সত্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হন। এমনও শোনা যায়, তারা মাড আইল্যান্ডে প্রায় সাত মাস একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন।
অভিনেত্রী সুজাতা মেহতার মতে, মিঠুন ও শ্রীদেবী একে অপরকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। কিন্তু মিঠুনের দাম্পত্য জীবনের জটিলতার কারণেই তাদের সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শ্রীদেবী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। শুটিং সেটে গিয়ে এক কোণে চুপচাপ বসে থাকতেন, কারো সঙ্গে তেমন কথা বলতেন না। তবে ক্যামেরা চালু হলেই নিজেকে সামলে নিয়ে অভিনয়ে মন দিতেন।
গুঞ্জন আছে, মিঠুনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শ্রীদেবী তিন মাসের জন্য চেন্নাই চলে যান এবং সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় প্রযোজক বনি কাপুরের। তখন বনি কাপুর বিবাহিত ছিলেন, তার স্ত্রী মোনা কাপুর ও দুই সন্তান—অর্জুন ও অংশুলা ছিলেন।
মোনা কাপুর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বনির সঙ্গে আমার ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক আর বাঁচানোর সুযোগ ছিল না, কারণ ততো দিনে শ্রীদেবী অন্তঃসত্ত্বা।’
শেষ পর্যন্ত বনি ও মোনার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং শ্রীদেবী-বনি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। এরপর প্রথম পক্ষের সন্তানদের সঙ্গে বনির সম্পর্ক অনেকটাই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
অর্জুন কাপুর একবার বলেছিলেন, ‘শ্রীদেবীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনো স্বাভাবিক হবে না। তিনি আমার বাবার স্ত্রী, এর বেশি কিছু নন।’
একবার শ্রীদেবী নিজের প্রেমের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘১৯৮৪ সালে বনি কাপুর আমাকে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে সাইন করানোর জন্য এসেছিলেন। পরে তিনি জানান, আমাকে প্রথম দেখাতেই তিনি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। যদিও প্রেমের প্রস্তাব দিতে তার কয়েক বছর সময় লেগেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন বনিকে মানুষ হিসেবে চিনতে শুরু করলাম, তখনই বুঝতে পারলাম যে আমি ওর প্রেমে পড়েছি। তবে এটা মেনে নিতে আমার অনেক বছর লেগে গিয়েছিল যে, আমার নিয়তি বনির সঙ্গেই জড়িত। যদি আরও আগে ভালোবাসাটা বুঝতে পারতাম! যখন বুঝলাম, তত দিনে আমার মা-বাবা কেউই জীবিত ছিলেন না, আর আমার বোনও এই সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড অবাক হয়েছিল।’