
ছবি: সংগৃহীত
১৪ বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন শ্রেয়া ঘোষাল। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ থেকে ভরে ভরে পেয়েছেন ভালোবাসা। কদিন আগে ধুমধাম করে শ্রেয়ার ৪১ বছরের জন্মদিন পালন হল ইন্ডিয়ান আইডলের সেটে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ভালোবাসার পাশাপাশি, কত কোটি সম্পত্তির মালকিন হয়েছেন তিনি?
শ্রেয়া ২০টি ভাষায় ৩০০০ টিরও বেশি গান এবং হিন্দিতে ১১৫০ টিরও বেশি গান গেয়েছেন। শুরুটা হয়েছিল রিয়েলিটি শো সারেগামাপা দিয়ে। আর সেটি জিতেও নেন তিনি। পরবর্তীতে দেবদাসের তার গান, যেমন বৈরি পিয়া, সিলসিলা ইয়ে চাহাত কা দিয়ে পৌঁছে যান জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, শ্রেয়ার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৪০ কোটি টাকা। যা মূলত এসেছে সংগীত ক্যারিয়ার থেকেই। গোটা বিশ্বজুড়ে লাইভ শো করে থাকেন শ্রেয়া। আর টিকিটের দামও থাকে আকাশছোঁয়া।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে, রেকর্ড করা প্রতিটি গানের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি। যা তাকে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া গায়িকা করে তোলে।
কলকাতার একটি অভিজাত অঞ্চলে শ্রেয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। শুধু তাই নয়, মুম্বাইতেও তার একটি বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে।
শ্রেয়া ঘোষালের গাড়ির তালিকাও চোখ ধাঁধানো। যার মধ্যে রয়েছে একটি BMW 5 সিরিজ, একটি রেঞ্জ রোভার স্পোর্ট এবং একটি মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস-ক্লাস যার দাম যথাক্রমে ৭৭ লক্ষ, ৪৩ লক্ষ, ৬০ লক্ষ এবং ৩০ লক্ষ টাকা।
শুধু সম্পত্তিও নয় কিন্তু, শ্রেয়া ঘোষালের পুরস্কারের তালিকা দেখেও হিংসে হতে পারে যে কারও। গায়িক পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার, চারটি কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুটি তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার, একটি মহারাষ্ট্র রাজ্য পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কার, ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং প্রায় ২০টি ফিল্মফেয়ার পেয়েছেন একাধিক ভাষা মিলিয়ে।
জানা যায়, মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে গানের তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন শ্রেয়া। সেই সময় মায়ের কছে গান শিখতেন। ছয় বছর বয়সে, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন। ষোল বছর বয়সে তিনি জিটিভির সারেগামাপা সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং বিজয়ী হন। আর এখানেই নজরে আসেন সঞ্জয় লীলা বনশালির।
শ্রেয়া ঘোষালের জন্ম ১৯৮৪ সালের ১২ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে এক বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে। যদিও বাবার কাজের সূত্রে তিনি রাজস্থানের কোটার নিকটবর্তী রাওয়াতভাতা শহরে বেড়ে ওঠেন। তার বাবা বিশ্বজিৎ ঘোষাল ভারতীয় পারমাণবিক শক্তি নিগমের একজন তড়িৎ প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন।
গায়িকা রাওয়াতভাতার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর ফের বাবার পোস্টিংয়ের কারণে চলে আসেন মুম্বাই। সেখানেই পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার। স্কুল শেষ করে শ্রেয়া, বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার জন্য পরমাণু শক্তি জুনিয়র কলেজে ভর্তি হন। তবে তা ছেড়ে দেন। এরপর ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়েন মুম্বাইয়ের এসআইইএস কলেজ অব আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড কমার্সে কলেজে।
১০ বছর প্রেম করার পর, শ্রেয়া বিয়ে করেন শিলাদিত্য সান্যালকে। তাদের একটি ছেলেও রয়েছে ৩ বছরের, নাম দেবায়ন।