
ছবি: সংগৃহীত
১৯৮৩ সালের আজকের দিনে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রাজিন সালেহ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই দেখান রাজত্ব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অবশ্য সুখকর ছিল না। তবে ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে নানা চরাই-উতরাইয়ের গল্প লিখেছেন। আজ তার জন্মদিনে পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন গায়ক আসিফ আকবর।
ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে আসিফ স্তুতি গেয়েছেন রাজিনের। পেছনের গল্প বলেছেন, শুনিয়েছেন সেই সব দিনের গল্প। তিনটি ছবি প্রকাশ করে আসিফ করেন রোমন্থন।
রাজিন সালেহ, লড়াকু ক্রিকেটার, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক। ২০০৪-০৫ সালের দিকে রাজিন, তাপস বৈশ্য, অলক কাপালি আর এনামুল জুনিয়র—এই চার সিলেটি ক্রিকেটার ছিল আমার আদরের ছোটভাই।
মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাই পারফরমেন্স স্কোয়াডের সদস্য ছিল তারা। আমিও তখন বেশ মাতামাতি করতাম ক্রিকেট নিয়ে। সে সূত্রেও ওরা আসতো আমার স্টুডিওতে।
রাজিন শুরু থেকেই খুব ডিসিপ্লিন মেইনটেন করা ছেলে। এখন কোচ হিসেবে কাজ করছে। পাশাপাশি নিজের শহর সিলেটের ইয়াং জেনারেশনের ক্রিকেট ট্রেনিং নিয়েও বিজি আছে। তার শয়নে-স্বপনে জাগরণে শুধুই বাংলাদেশের ক্রিকেট। আমি সিলেট গেলেই রাজিনকে নক দেই। দুজন আড্ডা দেই, ক্রিকেট নিয়ে কথা বলি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত তৈরির জন্য রাজিন সালেহ আমাদের সম্পদ।
রাজিন সিলেটের হয়ে ক্যারিয়ার গড়লেও তার শেকড় প্রোথিত কুমিল্লায়। কুমিল্লা সিনিয়র জেলা দল স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন। প্রায় ৩৬ বছর আবারও কুমিল্লা ফাইনাল রাউন্ডে রানাসআপ হয়েছে। সেই দলে রাজিনও ছিল। রাজিন আমার প্রিয় মানুষ, প্রিয় ক্রিকেটার, স্নেহের ছোটভাই। আজ রাজিনের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন রাজিন। আনন্দে বাঁচো, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করো।
ভালবাসা অবিরাম...
জাতীয় দলের হয়ে ২৪টি টেস্টে ২৫.৯৩ গড়ে রাজিন করেন ১১৪১ রান। ৪৩টি ওয়ানডেতে ২৩.৯২ গড়ে ১০০৫ রান করেছেন। জাতীয় দলে সেভাবে বিকশিত না হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন অনেকটাই। এ নিয়ে আফসোসও আছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যখন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে ছিলেন, সেই সময়টাতেই জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি কখনো। বর্তমানে ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন রাজিন।