
দেশীয় নাটকে সিন্ডিকেট নতুন কিছু নয়। আর সিন্ডিকেটের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় নায়ক-নায়িকারাই নানা কথা বলে থাকেন। এবার নায়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুললেন বিনোদন জগতের ছোটপর্দার অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা।
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে গুটিকয়েক শিল্পী রয়েছেন, যারা তাদের গণ্ডির বাইরে কারও সঙ্গে অভিনয় করতে চান না। এর মধ্যে যেমন নায়ক রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন নায়িকাও। নির্মাতারা নায়ক কিংবা নায়িকা যে কোনো একজনকে নিলে নিজেরাই জুটি হিসাবে কাকে নিতে হবে, সেটি ঠিক করে দেন বলে জানান এ অভিনেত্রী।
তিশা বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাটকের সব কিছু নায়কদের সিদ্ধান্তেই হচ্ছে। এমনকি তিনিও শিডিউলের জন্য পরিচালক নয়, নায়কদের কাছ থেকে ফোন পান।
তিনি বলেন, মেকআপ আর্টিস্ট, ডিওপি, লাইটে কাকে নেবে, শুটিং কোথায় হবে, গল্প কী হবে, মায়ের চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, বাবার চরিত্রে কে থাকবেন—নাটকের সব কিছু নায়করা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কিংবা ঠিক করে দিচ্ছেন।
অভিনেত্রী বলেন, এটা তো নায়কের কাজ না, পরিচালকের কাজ। গল্পের চরিত্রের প্রয়োজনে যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই পরিচালক ডাক দেবেন। কিন্তু আমাকে কলটা দিচ্ছেন নায়করা।
তাসনুভা তিশা বলেন, নায়কদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলেই তারা স্বেচ্ছাচারিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন হচ্ছে। কারণ তাদের কাছে সেই ক্ষমতাটা দেওয়া হয়েছে। এটা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারব না।
ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থায় ভবিষ্যৎ শঙ্কিত এ অভিনেত্রী বলেন, এভাবে যদি চলতে থাকে তা হলে কাজ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। প্রতিদিন আমার মনে হয় অন্য কিছু নিয়ে ভাবা উচিত। অন্য কোনো ক্যারিয়ার হয়তো বেছে নিতে হবে, এভাবে কাজ করা যায় না। যাদের ন্যূনতম আত্মসম্মানবোধ আছে, তাদের তো গায়ে লাগার কথা।
তিনি বলেন, আমার চাওয়া, পরিচালকই আমার শিডিউল নেবেন, তিনিই গল্প নির্বাচন করবেন। নায়ক কেন এসব বিষয়ে মাথা ঘামাবে। চিত্রনাট্যে যা লেখা আছে, সেই সংলাপই বলা উচিত। গল্পের প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে হলে, সেটা আলোচনা করে করতে হবে। কেন নায়কের সিদ্ধান্তেই সব হবে! অভিনেত্রী হিসেবে এই বিষয়গুলো আমার আত্মসম্মানে আঘাত করে, মন খারাপ হয়।