-67d3f8bc30739.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
ঢালিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। তবে দর্শকদের কাছে অভিনেতা বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম বা ট্র্যাজেডির গল্প! অর্থাৎ ত্রিভুজ প্রেম বা স্যাক্রিফাইসের গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়!
প্রথম সিনেমার পরিচালক ছিলেন তার বাবা নায়ক রাজ রাজ্জাক। প্রথম সিনেমাতেই বাপ্পারাজ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তার সিনেমার একটি সংলাপ ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক ব্যস্ততা ও ইন্ডাস্ট্রির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেতা। প্রায় সময়ই সামাজিকমাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসা প্রসঙ্গেও নিজের মতামত জানান তিনি। তার মতে, তিন নিজের জায়গায় সবসময় নাম্বার ওয়ান।
বাপ্পারাজকে নিয়ে অনেকেই নানারকম মন্তব্য করে বসেন। অনেকেই বলেন ছ্যাঁকা খাওয়া নায়কের শুভেচ্ছাদূত তিনি। এ বিষয়ে কোনো দুঃখবোধ কাজ করে কিনা জানতে চাইলে বাপ্পারাজ বলেন, একদমই না। আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর। আমার অভিনীত চরিত্র সবার মনে জায়গা করেছে বলেই এমনটি হয়েছে। তাই এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখি। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটা আমার সফলতা। আমাকে যখনই পরিচালকরা গল্প শোনাতেন, চরিত্র নিয়ে কথা বলতেন, তখন আমি বেছেই নিতাম ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্র। আমি নিজেও বুঝতাম, ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্রটাই ক্লিক করবে।
অভিনয়ে অনিয়মিত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন তো আমার সেই সময় নেই, হিরোইনের পেছনে ছুটে ছুটে গান করব। সত্যি কথা বলতে, আমাদের এখানে তো ওই রকম চিত্রনাট্যই হয় না। আমরা যারা, এই যেমন আমি, আমিন খান, নাঈম আমাদের নিয়ে গল্প ভাবা হয় না। যা-ও কেউ আমাদের কথা ভাবেন, চিত্রনাট্য করতে গেলে, বলবে— বাবার চরিত্র কর বা করেন। বাবার চরিত্র যে করব, আমাদের তো বাবার মতোও অবস্থা হয়নি। আমাদের নিয়ে চরিত্র লেখা না হলে কীভাবে কী করব। মুম্বাইয়ের দিকে তাকালে দেখি, এই বয়সেও অমিতাভ বচ্চনসহ অন্যদের নিয়ে যেভাবে চরিত্র তৈরি হয়, তা সত্যিই অন্য রকম। বয়স্ক যারা, এখনো তাদের পর্দায় যেভাবে উপস্থাপন করে, তা ঠিকঠাকভাবেই করে। আমাদের এখানে গল্প এখনো একই প্যাটার্নের। হয়তো বাবার চরিত্র দরকার হলো, বলল— বাপ্পা ভাই করবেন? আমি বললাম, না, আমি করব না। এরপর দেখা গেল নাঈমের কাছ গেল, সেও করবেন না। এরপর আমিন খানের কাছে গেল, সে-ও করল না। এরপর এমন একজনকে নিল, যা হয়তো নিতে হবে বলেই নেওয়া। তাই বলব, আমাদের এখানে কাউকে ভেবে চরিত্র তৈরি হচ্ছে না।
সম্প্রতি ছোট্ট একটা টিজারে দেখা গিয়েছিল বাপ্পারাজকে। অবশেষে অভিনয়ে ফিরছেন তিনি। নিজের আসন্ন এ কাজ প্রসঙ্গে বাপ্পারাজ বলেন, ওটা একটি ওয়েব সিরিজ। মোস্তফা খান শিহান বানাবে। সিরিজের প্রতিটা চরিত্রের ওপর একটা করে টিজার বানিয়েছে। বানানোর পর চুপচাপ ছিল, ভাবছিল পরে প্রকাশ করবে। কিন্তু হেনা-বকুল নিয়ে এত মাতামাতি শুরু হলো, তার মধ্যেই এটি ছেড়ে দিয়েছে। সময় ও সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। সিরিজটির নাম ‘রক্তঋণ’। কোনো চ্যানেলের সঙ্গে চূড়ান্ত হলে তবেই শুটিং শুরু হবে। এটি আমার অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ হতে যাচ্ছে। বিষয়বস্তুর কারণে সিরিজটিতে কাজ করতে রাজি হয়েছি। যেমন এটার মধ্যে হিরোইন নেই। নাচ-গান নেই। চরিত্রনির্ভর। চরিত্রে অভিনয়ের দুর্দান্ত সুযোগ আছে। ধুমধাম ব্যাপারও আছে।
উল্লেখ্য, বাপ্পারাজ অভিনীত ত্রিভুজ প্রেমের ‘প্রেমের সমাধি’, ‘প্রেমগীত’, ‘হারানো প্রেম’, ‘ভুলোনা আমায়’, ‘বুক ভরা ভালোবাসা’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’ এমন বেশ কিছু সিনেমা তাকে দিয়েছে অনন্য জনপ্রিয়তা। এ ছাড়া ‘বাবা কেন চাকর’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘সৎ ভাই’, ‘জবাব চাই’ ইত্যাদি সিনেমাগুলো দিয়ে দর্শকের মন ভরিয়েছেন তিনি।