Logo
Logo
×

বিনোদন

জটিল রোগে আক্রান্ত ঋতাভরী

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম

জটিল রোগে আক্রান্ত ঋতাভরী

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী টালিজগতে দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। 'ফাটাফাটি' থেকে 'বহুরূপী'-এর মতো সিনেমার পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। এ ছাড়া বি-টাউনেও নানা কাজ করে চলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে দাঁড় করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। 

এই অভিনেত্রী অল্প বয়স থেকেই এক ভয়ঙ্কর মানসিক সমস্যার শিকার। এ সমস্যার প্রভাবে একবার গাড়ি থেকেও নাকি ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই কথা এবার নিজের মুখেই জানালেন অভিনেত্রী।  

সম্প্রতি স্ট্রেটআপ উইথ শ্রী পডকাস্টে ঋতাভরী এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, একবার শৈশবে আমার চিকিৎসক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. দেব আমাকে দেখেন। আমার সঙ্গে কথা বলে বুঝে আমার মা কে বললেন— ওর একটা অসুখ আছে, সেটার নাম 'রেকারিং ডিপ্রেশন'। এটা জিনগত। এখানে ওর কিছু করার নেই। ও পরিবারের কারুর থেকেই জিনগতভাবে পেয়েছে এবং কোনোভাবে এখন বিষয়টি সক্রিয় হয়ে গেছে। ওর এ সমস্যা সারাজীবন থাকবে। এই অসুখ কোনো দিনও যায় না। 

অভিনেত্রী বলেন, আমাকে তিনি খুব সাদামাটা বাংলায় বুঝিয়ে দিলেন এই অসুখটা ঠিক কীভাবে প্রভাব ফেলে। কখন এর প্রভাব বৃদ্ধি পায়, আবার কখন এর প্রভাব স্বাভাবিক থাকে। পাশাপাশি কীভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সেটিও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন যে আমাকে যোগ-ব্যায়াম করতেই হবে। শরীরচর্চা না করলেই সমস্যা। এ ক্ষেত্রে আমি কোনোভাবেই আপস করতে পারব না। 

তবে অভিনেত্রী এ সমস্যার জন্য ওষুধের সাহায্য সেভাবে নিতে চাননি। এ বিষয় ঋতাভরী বলেন, চিকিৎসক জানান— আমাকে যদি ওষুধ এড়িয়ে চলতে হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই মনকে খুশি রাখতে হবে। তাই খুব অল্প বয়স থেকেই আমাকে ধ্যান, মন একত্রিত করা বা এ ধরনের বিষয়গুলো শেখানো হয়, যাতে আমি সুস্থ থাকতে পারি। তবে এর জন্য অবশ্য শুরুর দিকে কিছুটা ওষুধের সাহায্য নিতে হয়েছিল। কিন্তু পরে তা ঠিক হয়ে যায়, আর ওষুধ খেতে হয় না। 

তবে তার করা প্রথম মেগাই এ সমস্যায় অনেকটা ওষুধের মতো কাজ করেছিল। অভিনেত্রী বলেন, তারপর 'ওগো বধূ সুন্দরী' হলো। আমি বড় হলাম। অনেক কাজ করতে শুরু করলাম। 

তবে এই রোগ তাকে মানসিকভাবে যে কতখানি বিপর্যস্ত করেছিল, সে প্রসঙ্গে একটা ঘটনার কথা শেয়ার করে নেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, তখন আমি ক্লাস ১২-এ পড়ি। একদিন হলুদ ট্যাক্সি করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার এখনো মনে আছে, বাইপাসের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। যেখানে ডান দিকে ভেরিটা আছে, ওখানে গিয়ে আমার কেমন যেন মনে হচ্ছিল আমি গাড়ির হাতলটা টানি, টেনে ঝাঁপ দিয়ে দিই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম