
বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে বেশি দিন হয়নি, মাত্র এক মাস! এরই মধ্যে নতুন প্রেমিকের সঙ্গে ডেটিংও শুরু করেছেন ‘ব্ল্যাক সোয়ান’খ্যাত তারকা হলিউড অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যান!
সম্প্রতি এমন খবর দিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম পিপলস ম্যাগাজিন। স্বামী বেঞ্জামিন মিলেপিডের সঙ্গে ডিভোর্সের পর ৪৩ বছর বয়সি অস্কারজয়ী এ অভিনেত্রী তার প্রেম জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। প্রেমিকের নাম টাঙ্গুই ডেস্টেবল। ফরাসি সংগীতশিল্পী এবং প্রযোজক তিনি। সংগীত জগতে যিনি ‘টেপার’ নামে পরিচিত।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিলিপিডের সঙ্গে নাটালির ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। অবশ্য বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন তারও আটমাস আগে।
নাটালির অভিযোগ, মিলিপিড বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। এ কারণেই তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। নাটালি এবং মিলেপিডের প্রথম দেখা হয় ২০১০ সালে ‘ব্ল্যাক সোয়ান’ সিনেমার সেটে। এ সিনেমাটি অভিনেত্রীকে কেবল একাডেমি পুরস্কারই জিতিয়ে দেয়নি বরং ২০১২ সালে তিনি যে পুরুষকে বিয়ে করেছেন তার সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর তাদের ঘরে আসে দুই সন্তান, ১৩ বছর বয়সি আলেফ এবং ৮ বছর বয়সি আমালিয়া। কিন্তু পারিবারিক জীবনে বেশ অশান্তিতেই ছিলেন বলে জানিয়েছেন নাটালি। যদিও এ অভিনেত্রী তার ব্যক্তিগত জীবনকে বেশিরভাগ সময় গোপন রেখেছিলেন।
২০২৪ সালের গোড়ার দিকে ভ্যানিটি ফেয়ারের ৩০তম বার্ষিক হলিউড সংখ্যার জন্য এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনকে ঘিরে জল্পনা-কল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘খুবই ভয়াবহ এবং এটি কন্টিনিউ করার কোনো ইচ্ছা নেই আমার।’ তখন থেকেই মূলত মিলেপিডের সঙ্গে ডিভোর্সের খবর চাউর হয়। বিচ্ছেদের চূড়ান্ত রায় আসার পর মোটেও দেরি করেননি নাটালি। ডেটিং শুরু করেছেন নতুন প্রেমিকের সঙ্গে। ৭ মার্চ প্যারিসের রাস্তায় ৪৪ বছর বয়সি টাঙ্গুইয়ের সঙ্গে বাহুবন্দি অবস্থায় হাঁটতেও দেখা গেছে তাকে। অবশ্য এ সম্পর্ককে এখনো বন্ধুত্বের পর্যায়েই রেখেছেন বলে নাটালির ঘনিষ্ঠ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
গত জুনে ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে বন্ধুত্বের মর্যাদা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুত্বের মাঝেই আমি শক্তি খুঁজে পাই। আমার বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চাই, যারা আমাকে বারবার খাদের কিনারা থেকে তুলে এনেছেন।’ মিলেপিডের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ এবং বিচ্ছেদের পর নতুন বন্ধু টাঙ্গু তার ক্ষত কতটা সারিয়ে তুলতে পারবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।