Logo
Logo
×

বিনোদন

নানার কাছে হেরে গেলেন তনুশ্রী

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:২০ পিএম

নানার কাছে হেরে গেলেন তনুশ্রী

২০১৮ সালে বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে ‘মি টু’ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে নানা পটেকরসহ আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী।

তবে শুক্রবার, আন্ধেরির বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এনভি বনশল একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেন। তার মতে, অভিযোগের সময়সীমা অতিবাহিত হয়ে গেছে, ফলে তনুশ্রী দত্তের অভিযোগটি খারিজ করা হয়েছে।

২০০৮ সালের ২৩ মার্চ অশ্লীল আচরণের জন্য ২০১৮ সালে এফআইআর দায়ের করেন তনুশ্রী। বিষয়টি জাতীয় স্তরে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। সেই অভিযোগের কারণে সেই সময় তনুশ্রী প্রায় প্রতি দিন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে।

পরের  বছর পুলিশ মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তথ্য পেশ করে জানায়, তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের আরও দাবি, তনুশ্রীর এফআইআর সম্পূর্ণ মিথ্যা। আইনি পরিভাষায় এ ধরনের অভিযোগকে ‘বি-সামারি’ বলা হয়।

এই অভিনেত্রীও আদালতে তার অভিযোগকে মিথ্যা এবং ‘বি-সামারি’ তকমা দেওয়ার পালটা প্রতিবাদ জানান। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদনও করেন।

শুক্রবার, তনুশ্রী দত্তের ‘মি টু’ অভিযোগ নাকচ করার পর বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এনভি বনশল আরও জানান, আইনের দৃষ্টিতে একটি ঘটনার ১০ বছর পর অভিযোগ দায়েরের কোনো বৈধতা নেই। ২০০৮ সালে ঘটিত এই ঘটনায়, তনুশ্রী ২০১৮ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৫৪ এবং ৫০৯-এ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

তবে, আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি কর্মপদ্ধতি (সিআরপিসি)-এর নিয়ম অনুসারে অভিযোগ দায়েরের জন্য তিন বছরের সময়সীমা নির্ধারিত।

ম্যাজিস্ট্রেটের মতে, এই সময়সীমার উদ্দেশ্য ছিল মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, কিন্তু সাত বছর পর অভিযোগ দায়ের হওয়ায় মামলাটি অবৈধ হয়ে যায়। প্রশাসনও এই বিলম্বের জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি, ফলে মামলাটি চালিয়ে যাওয়া বা ধরে রাখা যুক্তিসংগত নয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম