
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর লিখেছেন- শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে প্রায় দুই বছর হলো। ঘুরে বেড়াচ্ছি বিদেশ বিভূঁই।
রাজনৈতিক কারণে অনেক দিন আটকা ছিল আসিফ আকবরের পাসপোর্ট। বছর দুয়েক আগে তা উদ্ধার করতে পেয়েছেন তিনি। সর্বশেষ লন্ডন থেকে ফিরে বাংলাদেশ বিমানের কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সফর শেষে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আসিফ বলেন, শেষ লন্ডন সফরে দেখলাম এক লোক খুব চোটপাট দেখাচ্ছে বিমানের অফিশিয়ালদের সঙ্গে। যখন হিথ্রোর নিজস্ব সিকিউরিটি এলো তখন তিনি দমে গেলেন, কারণ ভুলটা তারই ছিল। এ ব্যবহার অবশ্য বিদেশি অন্য এয়ারলাইন্স হলে করতেন না। ব্যাপারটা এ রকম- আমাদের ব্যবহার ফার্মগেটে একরকম আর জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে অত্যন্ত সুবোধ!
তিনি লিখেন, বিদেশ সফরে আমার প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (বিমান) আর ইউএস বাংলা। আমি ইকোনমি ক্লাসের টিকেট কাটি। বিজনেস ক্লাস খুব অস্বস্তিকর। কারণ দামি বলে অপচয় মনে হয়। তবে সিট খালি থাকলে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বিমান কর্তৃপক্ষ বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড করে দেয় এটা খুব সম্মানের সঙ্গে উপভোগ করি।
আসিফ লিখেছেন- খাবারের মান আর আপ্যায়নে বিমান সেরা। শুধু লাগেজ সেক্টরে পুরোনো দৈন্যতা রয়েই গেছে। মাঝে মাঝে ফ্লাইট শিডিউলও ঠিক থাকে না। বিমান হতে পারে দেড় কোটি প্রবাসীর স্বপ্নের ক্যারিয়ার। তাদের মোট এয়ারক্রাফট এখন ২৪টি। টিকেটের সিন্ডিকেট ভাঙার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
তিনি লিখেন, সম্প্রতি নিয়ম করেছে পাসপোর্ট ছাড়া টিকেট বুকিং দেওয়া যাবে না। এটা করা সম্ভব হলে নাগালের মধ্যে চলে আসবে টিকিটের দাম, ভেঙে যাবে সিন্ডিকেট, প্রবাসী এবং পর্যটকরা পাবেন ন্যায্য দামে টিকেট। লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের মত কিছু অপশন প্রাইভেট কোম্পানির কাছে ছেড়ে দিলে সেবার মানও বৃদ্ধি পাবে।
সবশেষে আসিফ লিখেছেন, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জাতীয় পতাকাবাহী ক্যারিয়ার, বিমান হয়ে উঠুক দেশের মানুষের অহংকারের জায়গা। সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলে এমডি/সিইও বরাবর মন্তব্য করার ফর্মও আছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-আকাশে শান্তির নিড়। শুভকামনা।