Logo
Logo
×

বিনোদন

শাহরুখ চাইলে দিল্লি থেকেই সেই ‘বিশেষ পানীয়’ পাঠাবেন অশ্বিনী!

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

শাহরুখ চাইলে দিল্লি থেকেই সেই ‘বিশেষ পানীয়’ পাঠাবেন অশ্বিনী!

খাবারের দুনিয়ায় একটা কথা প্রচলিত আছে— প্রত্যেকের ডিম খাওয়ার ধরণ আলাদা। কথাটা ঠিক বর্ণে বর্ণে সত্য না হলেও এ কথা মানতেই হবে যে, ডিম খেতে ভালোবাসেন যারা, তাদের ডিম খাওয়ার নিজস্ব প্রিয় ধরণ রয়েছে। ঠিক তেমনি কফি খাওয়ার ধরণও আলাদা। যেমন রয়েছে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানেরও। 

কফির ব্যাপারটি ঠিক ডিম খাওয়ার মতোই। কফিও নানাভাবে খাওয়া যায়। প্রত্যেকের পছন্দের কফির নিজস্ব স্বাদ আছে। কেউ চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পছন্দ করেন। আবার কেউ ব্ল্যাক কফিই খান সামান্য চিনি দিয়ে। কেউ ইনস্ট্যান্ট কফি পছন্দ করেন, তো কেউ তাজা কফির দানা রোস্ট করে তা থেকে তৈরি করেন ফিল্টার কফি।

বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের কেমন কফি পছন্দ? সেই প্রশ্নেরও উত্তর খোঁজেন ভক্তরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড বাদশাহ তার কফি খাওয়ার গল্প শুনিয়েছেন। 

জানিয়েছেন, বহু বছর আগে খাওয়া একটি কফির স্বাদ আজও তার স্মৃতিতে উজ্জ্বল। এখনো মাঝেমধ্যেই সেই কফি খাওয়ার ইচ্ছে জাগে তার। তবে চাইলেই তো আর খাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ তিনি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা, আর সেই কফি পাওয়া যেত দিল্লিতে।

বান্দ্রার মান্নাতবাসী শাহরুখের ছোটবেলা কেটেছে দিল্লিতেই। এমনকি কলেজের পড়াশোনাও তিনি শেষ করেছিলেন সেখানেই। বন্ধুদের সঙ্গে দিল্লির রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর গল্পও বহুবার শুনিয়েছেন শাহরুখ। 

দিল্লিতে স্কুলে এবং কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সঙ্গে একটি দোকানে প্রায়ই কোল্ড কফি খেতে আসতেন কিং খান। 

সেই কফির দোকানের নাম মনে করে শাহরুখ জানিয়েছেন, দোকানের নাম ছিল ‘ডিপল কফি শপ’। কাচের বোতলে ঠান্ডা কফি ভর্তি করে পরিবেশন করা হতো। 

শাহরুখ জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজে পড়ার সময় ওই কফির দোকানটাই ছিল তাদের আড্ডা দেওয়ার এবং আয়েশ করে সময় কাটানোর জায়গা। সেই সব স্মৃতি এখনো তার মনে পড়ে।

শাহরুখ যে কফির দোকানের কথা বলেছেন, সেটির ঠিকানা দিল্লির জনপথ ভবন। ৭২ বছরের পুরোনো সেই দোকানের মালিক অশ্বিনী কাঠপালিয়া জানাচ্ছেন, শাহরুখ ‘ফৌজি’তে অভিনয় করার পরেও ওই দোকানে গিয়ে তার প্রিয় কফি খেয়ে এসেছেন। শুরু থেকে কোল্ড কফিই বানাতেন তারা। শাহরুখও সেই কফিই খেতে ভালোবাসতেন। 

সাক্ষাৎকারে শাহরুখের কফি খাওয়ার কথা শুনে অশ্বিনী বলেছেন, ‘উনি হয়তো এখন আর আসতে পারবেন না। তবে তার যদি ছেলেবেলার প্রিয় কফি খাওয়ার কখনো ইচ্ছে হয়, তবে উনি আমাদের ফোন করলেই দিল্লি থেকে মান্নাতে কফি পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম