‘কিলিং মি সফটলি’ গানের সেই শিল্পী না ফেরার দেশে

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম

সত্তরের দশকে জনপ্রিয় পপতারকা, গ্র্যামি বিজয়ী গায়িকা রবার্টা ফ্ল্যাক মারা গেছেন। সোমবার নিজ বাড়িতে ৮৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
রবার্টার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার মুখপাত্র। তবে তিনি মৃত্যুর কোনো কারণ উল্লেখ করেননি।
সম্প্রতি ফ্ল্যাক এলএস (লু গেহরিগ রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়ে গানের ক্ষমতা হারিয়েছিলেন। রোগটি তার শরীরে ২০২২ সালে ধরা পড়ে।
‘কিলিং মি সফটলি উইথ হিস সং’ গানটির জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন রবার্টা।
শ্রুতিমধুর ও আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠের অধিকারী এই শিল্পী বিশেষ ছন্দ ও ব্লুয়েজের মাধ্যমে বহু কালজয়ী গান তৈরি করেছেন। এগুলোকে তিনি প্রায়শই ‘সায়েন্টিফিক সোল’ হিসেবে বর্ণনা করতেন।
তার পূর্ববর্তী ও সমসাময়িক বহু শিল্পীদের কণ্ঠের স্বাদ পাওয়া যেত রবার্টার কণ্ঠে। তাই সব ধরনের শিল্পীর গানের গুণও তার মাঝে কমবেশি পাওয়া যেত। বিষয়টি তিনি নিজে একবার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে উল্লেখও করেছিলেন।
১৯৭০ সালে দেওয়া সেই সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, আমাকে সকলে বলে আমার কণ্ঠ নাকি নিনা সিমোন, ন্যান্সি উইলসন, ওডেটা, বারব্রা স্ট্রেইস্যান্ড, ডায়ন ওয়ারউইক এমনকি মাহালিয়া জ্যাকসনের মতো লাগে। সবাই যদি কোনো এক ব্যক্তির কণ্ঠের সঙ্গে আমার তুলনা করতো তখন আমি চিন্তিত হতাম। কিন্তু মানুষ যখন বলে আমার কণ্ঠ সবার সঙ্গে মিলে, তখন আমি বুঝতে পারি আমার একটি নিজস্ব স্টাইল রয়েছে।
রবার্টার মৃত্যুতে হলিউডের সঙ্গীত জগতে শোক নেমে এসেছে।
জ্যানিফার হাডসন তাকে সর্বসময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সোল গায়িকা হিসেবে বর্ণনা করেছন।
রুটস ড্রামার কোয়েস্টলভ লিখেছেন, ধন্যবাদ রবার্টা ফ্ল্যাক। মেলোডিতে বিশ্রাম নিন।
রবার্টা ক্লিওপেট্রা ফ্ল্যাক ১৯৩৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তর ক্যারোলিনার ব্ল্যাক মাউন্টেইনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে বড় হন।
তার পরিবারও ছিল প্রচণ্ডভাবে সঙ্গীতপ্রেমী। তিনি শৈশব থেকেই সঙ্গীতের দীক্ষা নেওয়া শুরু করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ওয়াশিংটনের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে সঙ্গীতের বৃত্তি লাভ করেন।