
প্রয়াগরাজে ভিড় কমছে না। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, ত্রিবেণি সঙ্গমে ডুব দেওয়ার হিড়িক। একে একে টালিউড, বলিউড ও হলিউড— তারকারা আসছেন পুণ্যস্নান করতে। যদিও কুম্ভমেলার সময়সীমা থাকছে অপরিবর্তিত। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মেলার শেষ দিন। তাই অন্তিম লগ্নেও অনেকে যাচ্ছেন স্নান করতে। এবার মহাকুম্ভে গেলেন বলি প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা বনি কাপুর। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রয়াগরাজে গেছেন তিনি। কিন্তু এ বছরের মহাকুম্ভে গিয়ে কোন উপলব্ধি হলো জাহ্নবী কাপুরের বাবার, জানালেন সে কথা।
বনি কাপুর বলেন, আমি এখানে অনেকবার এসেছি। একবার আমি এসেছিলাম আমার দাদুর চিতাভস্ম বিসর্জন দিতে। এরপর আমি প্রয়াগরাজে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলাম, কিন্তু এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এখানকার পুরো পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে— আমাদের ভারতে এত মানুষ! আমি এখন বিশ্বাস করি যে, আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি হবে।
মহাকুম্ভে কোটি কোটি মানুষের জমায়েত হয়েছে। ভিড়ের কারণে পৌঁছাতে পারেননি বহু পুণ্যার্থী। তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কুম্ভের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি তুলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি সংসদ সদস্য অখিলেশ যাদবসহ অনেকেই। তার মধ্যেই জল্পনা শুরু হয়, যখন পুলিশের ডিউটির মেয়াদ বৃদ্ধি করার নির্দেশিকা জারি হয়। অনুমান করা হচ্ছিল, কুম্ভের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলেই এ সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেই জল্পনা খারিজ করে দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে মহাকুম্ভে স্বামীকে নিয়ে পুণ্যস্নান করতেন অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রে। এ ছাড়া মিলিন্দ সোমন, রেমো ডি’সুজ়া, হেমা মালিনী, তামান্না ভাটিয়ারা ডুব দিয়েছেন। সোনালি বেন্দ্রে বলেন, জীবনে এমন সুযোগ একবারই আসে। তেমনই একটা সুযোগ আমি পেয়েছি। বহু মানুষকে এখানে দেখতে পাচ্ছি। অভিনেত্রী বলেন, আমার মনে হয়— কষ্ট ও যন্ত্রণা থেকে আমরা সবাই মুক্তি পেতে চাই। সবাই এখানে এসেছেন নিজের কিছু চাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে। তাই এখানে আসার সুযোগ ছাড়া যায় না।