
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানে ভিড় জমিয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। ‘হর হর মহাদেব’ ভক্তদের বিশ্বাস— মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করলেই ‘পাপ ধুয়ে সাফ হবে’। আর সেই বিশ্বাস থেকেই মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানে যোগ দিয়েছিলেন টালিউড অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।
মহাকুম্ভ থেকে ফিরেই জন্মদিন। নিজের নাচের ছাত্রী ও পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়াগরাজে পৌঁছেছিলেন অপরাজিতা আঢ্য। গুরুর শিবিরে আশিস প্রার্থনা থেকে শুরু করে ত্রিবেণি সঙ্গমে ডুব— সব কিছুই করেছেন অভিনেত্রী। সেই মহাকুম্ভ থেকেই জন্মদিনের বিশেষ উপহার নিয়ে ফিরেছেন অপিরাজিতা।
অপরাজিতা বলেন, নিজের কুলগুরুর ডাকেই তিনি পৌঁছেছিলেন মহাকুম্ভে। অভিনেত্রী বলেন, আমার গুরুজির ডাকেই সেখানে যাই। এটাই আমার জন্মদিনের উপহার। গুরুজির ছেলের শিবির ছিল। শেষ দিনে কোনোমতে শিবিরে গিয়ে পৌঁছেছিলাম। কিন্তু শিবিরে প্রবেশ করার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে কোনোমতে আমি শেষ মুহূর্তে শিবিরে প্রবেশ করতে পারি। বুঝলাম— গুরুর আশীর্বাদেই সবটা হয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, সেই আশীর্বাদেই তিনি ত্রিবেণি সঙ্গমে ডুব দিতে পেরেছেন। সাধারণ মানুষের মতোই স্নান করেছেন তিনি, আলাদা কোনো সুবিধা পাননি।
তবে মহাকুম্ভে গিয়ে কিছু প্রতিকূলতাও দেখেছেন। অপরাজিতা বলেন, প্রচুর হাঁটতে হয়েছে আমাদের। এমন জায়গায় গেলে কিছু তো কষ্ট করতেই হবে। এখানে গিয়ে পাঁচতারা হোটেলের সুবিধা খুঁজলে তো পাব না। যদিও যোগী রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসাও তিনি করেছেন। অভিনেত্রী বলেন, পুলিশ খুবই সক্রিয় ছিল। খুব ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে সবটা। ভিড় ছিল মাত্রাতিরিক্ত। মানুষের এমন ঢল কল্পনাও করা যায় না। তিনি বলেন, সারা দিন ধরে মানুষ হেঁটে চলেছে। একসঙ্গে এত মানুষ তিনি এর আগে কখনো দেখেননি।
মহাকুম্ভের পানি কতটা দূষিত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বারবার। সেই প্রসঙ্গে অপরাজিতা বলেন, অপরিষ্কার কিছুই নেই। সবসময় সাফাইয়ের কাজ চলছে। তবে এত মানুষ একসঙ্গে এক জায়গায় শৌচকর্ম করলে তার সামান্য দুর্গন্ধ তো থাকেই। তবে কোথাও আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখেননি তিনি। অভিনেত্রী বলেন, কিছু মানুষের বদাভ্যাসের কারণেই যাবতীয় বিপত্তি। যেখানে স্নান করবে, সেখানেই প্লাস্টিক ফেলছে। সেগুলো পরিষ্কারও করা হচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা খুবই ভালো বলে জানান অপরাজিতা।