Logo
Logo
×

বিনোদন

হামলার রাতে কারিনার ভূমিকা নিয়ে মুখ খুললেন সাইফ

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম

হামলার রাতে কারিনার ভূমিকা নিয়ে মুখ খুললেন সাইফ

ছবি: সংগৃহীত

পতৌদি পরিবারের নবাব অভিনেতা সাইফ আলি খান গত ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে নিজ বাড়িতে দুষ্কৃতকারীর হামলায় আহত হয়ে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছিলেন। পরে অস্ত্রোপচার শেষে পাঁচ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেন অভিনেতা। সেদিনের সেই হামলায় বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় অনেকে যেমন দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তেমনি অনেকেই অভিনেতার স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। 

অনেকের মতে, নিশ্চয়ই কারিনা সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বাড়িতে এত কিছু ঘটল, কিন্তু তিনি কোথায় ছিলেন, তিনি কি আদৌ বাড়িতে ছিলেন?—এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন অভিনেতা। এ বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই কোনো কথা বলেননি সাইফ আলি খান। এবার নীরবতা ভাঙলেন তিনি। কারিনা সম্পর্কে সমালোচনার ডালাপালা ছড়িয়ে পড়ায় আর চুপ থাকতে পারলেন না সাইফ। 

অভিনেতা বলেন, সেদিন কারিনা ডিনার করার জন্য বাইরে গিয়েছিল। পর দিন সকালে কিছু কাজ ছিল বলে আমি বাড়িতেই ছিলাম। আমি যাইনি। ও ফিরে আসার পর আমরা কিছুক্ষণ গল্প করি এবং শুয়ে পড়ি। শুয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা চিৎকার শুনতে পাই, কেউ একজন জেহর ঘরে ঢুকেছে ছুরি হাতে। টাকা চাইছে।

সাইফ বলেন, চিৎকার শুনেই আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আসি এবং লোকটিকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করি। ধস্তাধস্তি হওয়ায় আমার পিঠে, কব্জিতে এবং ঘাড়ে আঘাত লাগে। তিনি বলেন, আমি যখন হাতাহাতি করছিলাম, তখন কারিনা জেহকে নিয়ে তৈমুরের ঘরে চলে যায়।

এ অভিনেতা বলেন, কারিনা শুধু আমাকে নয়, বাচ্চা দুটোকেও সঙ্গে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। ও ভয় পাচ্ছিল, যদি ওই লোকটা বা লোকটার অন্য কোনো সঙ্গী বাড়িতে থাকে, তাহলে বাচ্চাগুলোর ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা কোনোরকমে সিঁড়ি দিয়েই নিচে নামছিলাম। কারিনা ক্যাব, রিকশা ও অটোর জন্য চিৎকার করছিল। আমার পিঠে তখন অসহ্য যন্ত্রণা করছিল।

সাইফ বলেন, বেবো বাচ্চা দুটোকে দিদির বাড়িতে রেখে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিল। বারবার পাগলের মতো সবাইকে ও ফোন করছিল, কিন্তু কেউ একবারও ফোন ধরেনি। এ অভিনেতা বলেন, আমি তখন বললাম— আমি ঠিক আছি। আমি মরব না। সবশেষে একটা অটো ধরে আমরা চারজনেই হাসপাতালে যাই।

উল্লেখ্য, সাইফের ওপর যে হামলা করেছিল, সেই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। দীর্ঘদিন বিজয় দাস নামে ভুয়া পরিচয় নিয়ে ভারতে থাকছিল ওই ব্যক্তি। আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ওই দুষ্কৃতকারী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম