Logo
Logo
×

বিনোদন

কারিনা নিজেই কেন সাইফকে হাসপাতালে নিলেন না?

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

কারিনা নিজেই কেন সাইফকে হাসপাতালে নিলেন না?

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান গত মাসে নিজের বাড়িতে এক দুষ্কৃতকারীর ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। সেদিন ব্যর্থ ডাকাতির চেষ্টায় হামলাকারী তাকে ছয়বার আঘাত করে। এর মধ্যে একবার অভিনেতার মেরুদণ্ডের কাছাকাছি স্থানে তিন ইঞ্চি পরিমাণ ছুরির ফলা ঢুকে যায়। যার কারণে দুটি বড় অস্ত্রোপচার করাতে হয় সাইফকে।

এ ঘটনা নিয়ে সাইফের শুভাকাঙ্ক্ষীরা যেমন তার পাশে দাঁড়ান, তেমনি কিছু লোক আবার ঘটনাটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। 

তবে সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফ আলী খান জানান, তিনি কিভাবে একা ওই অস্ত্রধারী হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করেন। যতক্ষণ না তার গৃহপরিচারিকা তাকে সাহায্য করতে আসেন।

এ সময় কেন ছেলে তৈমুর হাসপাতালে নিয়ে গেল তাকে, কারিনা নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, তার ছেলে তৈমুরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, কারিনা নন।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তৈমুর ওই সময় পুরোপুরি শান্ত ছিল। সে বলল, ‘আমি তোমার সঙ্গে যাচ্ছি’। আমিও ওকে দেখে ভরসা পাচ্ছিলাম এবং একা যেতে চাইনি। আমার স্ত্রীও ওকে পাঠিয়েছিল। সে (কারিনা) জানত যে, এই মুহূর্তে তৈমুরই আমার পাশে থাকতে পারবে। আল্লাহ না করুন, যদি কিছু খারাপ হতো, তাই আমি চাইতাম সে আমার পাশে থাকুক’।

এদিকে কারিনা কাপুর তার ছোট ছেলে জেহকে নিয়ে বড় বোন কারিশমা কাপুরের বাড়িতে চলে যান বলে জানান সাইফ।

অভিনেতা জানান, সেদিন রাত ২টার দিকে যখন তিনি ও কারিনা ঘুমাচ্ছিলেন, তখন এক গৃহকর্মী আতঙ্কিত অবস্থায় ঘরে ছুটে আসেন। তিনি জানান, একজন দুষ্কৃতকারী ছোট ছেলে জেহর ঘরে ঢুকে টাকা চাইছে।

সাইফ সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে যান এবং দেখেন, একজন মুখোশধারী ব্যক্তি জেহর বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে দুটি লাঠির মতো কিছু। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, এগুলো আসলে ধারালো ‘হেক্সা ব্লেড’।

সাইফ বলেন, ‘ওই সময় একটা অদ্ভুত শক্তি আমাকে আচ্ছন্ন করল। আমি লোকটাকে ধরে নিচে ফেলে দিলাম। কিন্তু সে তখনই আমার পিঠে ও গলায় ছুরির আঘাত করে। আমি একপর্যায়ে আর সহ্য করতে পারছিলাম না, কারণ একসঙ্গে দুটি ছুরি ব্যবহার করছিল সে। আমি শুধু প্রার্থনা করছিলাম, যেন কেউ আমাকে এই লোকটার হাত থেকে বাঁচায়’।

সেই সময় তার গৃহকর্মী গীতা এগিয়ে আসেন এবং হামলাকারীকে টেনে সরিয়ে দেন, জানান সাইফ।

তিনি বলেন, এর ফলে কিছুটা সময় পাই এবং দ্রুত হামলাকারীকে জেহর ঘরে তালাবদ্ধ করি। কিন্তু সে আবার বাচ্চাদের বাথরুমের ড্রেন পাইপ দিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ডাক্তাররা জানান, চার ইঞ্চি লম্বা ছুরির ফলা তার কাঁধের হাড় ভেদ করে মেরুদণ্ডের খুব কাছাকাছি চলে গেছে। এটি মেরুদণ্ডের প্রতিরক্ষামূলক আবরণও কেটে দিয়েছে, যার ফলে তৎক্ষণাৎ তার পায়ের অনুভূতি হারিয়ে যায়।

সাইফ বলেন, ‘ছুরিটা আর মাত্র এক মিলিমিটার গভীরে গেলেই আমি প্যারালাইসড হয়ে যেতে পারতাম’।

গুরুতর এই আঘাতের পর সাইফকে ছয় ঘণ্টার একটি জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তাকে চিরকালের জন্য বদলে দিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম