Logo
Logo
×

বিনোদন

আমিশা প্যাটেলকে তুলোধোনা মমতা কুলকার্নির

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম

আমিশা প্যাটেলকে তুলোধোনা মমতা কুলকার্নির

ছবি: সংগৃহীত

মহাকুম্ভমেলায় গিয়ে সন্ন্যাসী নিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি প্রদান করা হয়েছিল তাকে। যদিও এর মেয়াদ ছিল মাত্র সাত দিন। এরপর দেখা যায়, বেশ কিছু হিন্দু সাধু এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়।

তবে একসময়ে বহু বিতর্কে জড়িয়েছে তার নাম। খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় থেকে শুরু করে মাদকযোগেও জড়িয়েছেন মমতা কুলকার্নি। এমনকি দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথাও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়; হরিণের মাংস খাওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে অভিনেত্রী বলে জানা গেছে। সেই ঘটনা কেন্দ্র করে আরেক অভিনেত্রী অমিশা প্যাটেলের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধেও জড়িয়েছিলেন মমতা কুলকার্নি।

বলিউডে একটা সময়ে নাকি অনেকের সঙ্গেই রূঢ় আচরণ করতেন অভিনেত্রী। তার সেই রূঢ় আচরণের শিকার হয়েছিলেন আমিশা প্যাটেলেও। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মমতা কুলকার্নি বলেন, আমরা একটা বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য এক জায়গায় গিয়েছিলাম চার-পাঁচ দিনের জন্য। দিনের বেলা শুটিং হতো। আর রাতে আমরা সবাই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতাম। বুফেতে খাবার রাখা থাকত। তবে শুধুই আমিষ খাবার থাকত। কিন্তু সেই খাবার যে কতটা খারাপ, বলে বোঝানো যাবে না।

অভিনেত্রী বলেন, বাধ্য হয়ে আমিষ খাবারই খেয়েছিলাম। কারণ আর কিছু ছিল না। কিন্তু মাংস খেতে গিয়ে দেখি, চিবোনো যাচ্ছে না। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি— জঘন্য খাবার, চিবোতেই পারছি না। মিস্টার বজাজ ছিলেন সেখানে। তিনি জানান, এটা নাকি হরিণের মাংস। এই শুনে আমি বলে দিয়েছিলাম— পরের বার থেকে যেন আগেই বলে দেওয়া হয়। কারণ আমরা মুরগি বা পাঁঠার মাংস ও মাছ খাই। হরিণের মাংস কে খায়!

কিন্তু এখানেই সমস্যা বাধে আমিশার সঙ্গে। এসব দেখে আমিশা মন্তব্য করেছিলেন— এই নায়িকাদের নাটক করার প্রবণতা খানিক বেশিই। এরা তিলকে তাল করতে ওস্তাদ। এটা শুনে তৎক্ষণাৎ মমতা বলেন, আমিশা তখন নতুন, আমি চিনতামও না। আমি বলেছিলাম— কে এই মেয়েটা। ও কেন নাক গলাচ্ছে? আমি তো ওর সঙ্গে কথাও বলছি না। 

উল্লেখ্য, নব্বই দশকের অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি দীর্ঘদিন বিনোদন জগত থেকে দূরে ছিলেন। একসময় তার উষ্ণ আবেদনে রোমাঞ্চ ছিল বলি ইন্ডাস্ট্রি। এর পরই হঠাৎ তিনি হারিয়ে গেলেন পর্দা থেকে। এমনকি দেশের বাইরেই ছিলেন অভিনেত্রী। প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে সম্প্রতি তিনি সন্ন্যাসী গ্রহণ করেছিলেন।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম