বলিউড কুইন ঐশ্বরিয়া রাই ৫১’তে পা রেখেছেন কিছুদিন আগে। তবে এ বয়সেও নিজের লাবণ্য ধরে রখেছেন তিনি। সমালোচকরা বয়সজনিত মেদ বাড়ার কারণে অভিনেত্রীর সমালোচনা করলেও তার রূপ-সৌন্দর্যকে অস্বীকার করতে পারেননি। এই বয়সেও একটুও আকর্ষণ কমেনি সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর। নীল চোখের চাহনি আর মনোমুগ্ধকর হাসি আজও তার অনুরাগীদের মোহিত করে।
যদিও এখন সিনেমায় কাজ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া। মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের দায়িত্ব নিয়েই রুপালি পর্দা থেকে দূরে আছেন তিনি। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি চোখে পড়ে ঠিকই।
গত বছর থেকেই বচ্চন পরিবারের অন্দরমহল নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। শোনা যায়, ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক বিচ্ছেদের পথে পা বাড়াতে চলেছেন। তবে তাদের পারিবারিক সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই সেই জল্পনাকে নস্যাৎ করেছেন তারা।
তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে তার শ্বশুর বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের একটি মন্তব্যে বচ্চন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি ১৬’-এর সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করছেন অমিতাভ বচ্চন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা আসেন এই রিয়্যালিটি শোতে। এরই এক পর্বে অমিতাভের সামনে উপস্থিত হন ঐশ্বরিয়ার এক ক্ষুদে ভক্ত।
অনুষ্ঠানে সেই কিশোরী অমিতাভের কাছে ঐশ্বরিয়ার রূপের রহস্য জানতে চেয়ে বলেন, ঐশ্বরিয়া রাই তো খুব সুন্দর, তাই না! আপনি তো তার সঙ্গে থাকেন। তার কাছ থেকে জেনে তার সৌন্দর্যের কোনো টিপস দিতে পারবেন?
অমিতাভ তখন বলেন, ‘আমরা জানি তিনি সুন্দরী। কিন্তু বাইরের সৌন্দর্য তো দু’দিনের। আজ আছে কাল নেই। তবে মনের সৌন্দর্য চিরদিন থেকে যায়।
এক কিশোরীর প্রশ্নের উত্তরে এমন কথা বলার পর থেকেই অমিতাভকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আসলে তিনি কী বলতে চেয়েছেন? শুধুই কী নাতনির বয়সি কিশোরীকে নৈতিক শিক্ষা দিয়েছেন, নাকি তার কথার মধ্যে অন্য কিছু ছিল? তবে কী এখনো মনোমালিন্য চলছে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে বচ্চন পরিবারের? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্ত-দর্শকদের মনে।