Logo
Logo
×

বিনোদন

অন্য তরুণীর সঙ্গে সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ হতেই সম্পর্ক ভাঙে টাবুর

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম

অন্য তরুণীর সঙ্গে সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ হতেই সম্পর্ক ভাঙে টাবুর

বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় কাপুরের ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমার নাম ‘প্রেম'। সেই সিনেমার নায়িকার সঙ্গেই নায়কের প্রেম। কিন্তু সম্পর্কে থাকাকালীনই অন্য তরুণীর সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন অভিনেতা। তাতেই প্রেম ভেঙে যায় বলিউড অভিনেত্রী টাবুর। 

সেই থেকে এখনো অবিবাহিতই রয়ে গেছেন ৫২ বছরের এ অভিনেত্রী। তবে টাবুর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ঘনিষ্ঠ হওয়া সেই তরুণীকেই বিয়ে করেন অভিনেতা সঞ্জয় কাপুর।

১৯৯৫ সালে বনি কাপুরের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘প্রেম’। এই সিনেমায় টাবুর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন নবাগত অভিনেতা সঞ্জয় কাপুর। তবে এই সিনেমাটির কাজ সম্পূর্ণ করতে দীর্ঘ ছয় বছর সময় লেগেছিল বনি কাপুরের। আর সেই সময়ের মধ্যেই সিনেমার নায়ক-নায়িকা প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার পর সম্পর্ক ভেঙেও দেন।

জানা যায়, ‘প্রেম’ সিনেমার শুটিং চলাকালেই বন্ধুত্ব হয় সঞ্জয় ও টাবুর। সেখান থেকেই তাদের প্রেমের যাত্রা। একসঙ্গে নানা জায়গায় দেখা যেত তাদের। কিন্তু তারা যে সম্পর্কে ছিলেন, সে কথা প্রকাশ্যে জানাতেন না কেউই। 

এর মধ্যেই মাহিপ কাপুরের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল অভিনেতা সঞ্জয়ের। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই দুই তারকার বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

আর ‘প্রেম’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার সময় টাবু ও সঞ্জয় একে অপরের সঙ্গে কথা বলা পর্যন্তও বন্ধ করে দেন। এমনকি দুই তারকার মনোমালিন্যের কারণে সিনেমার কাজও পিছিয়ে যাচ্ছিল।

এদিকে পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে টাবু জানান, তার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয়। টাবুকে ঠকিয়েছিলেন অভিনেতা। এমনটাই দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী।

অন্যদিকে এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেছিলেন, ‘প্রেম’ সিনেমার শুটিং শুরুর সময় আমি আর টাবু ডেট করছিলাম। তবে সিনেমাটি যখন মুক্তি পেল, তখন আমরা আর কথা বলতাম না।

আবার সঞ্জয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মাহিপ কাপুর পুরনো এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন— আমি সঞ্জয়ের সঙ্গে একটা রাত কাটিয়েছিলাম। তার পরেই আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে সঞ্জয় বিয়ে করেন মাহিপ কাপুরকে।

বলিপাড়ার একাংশের দাবি— সাবেক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল সঞ্জয় কাপুরের। ‘সির্ফ তুম’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় নাকি নায়িকা সুস্মিতার প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সেই সম্পর্ক নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেননি দুই তারকার কেউই।

এদিকে বলিউড নির্মাতা সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়েছিল টাবুর। বলি অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর ভালো বান্ধবী ছিলেন টাবু। দিব্যার স্বামী ছিলেন সাজিদ। সেই সূত্রেই সাজিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল টাবুর।

জানা গেছে, দিব্যার মৃত্যুর পর টাবুর সঙ্গে সাজিদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। ‘জিৎ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় তাদের সম্পর্ক দানা বাঁধে। সাজিদকে নাকি বিয়েও করতে চেয়েছিলেন টাবু। কিন্তু দিব্যার মৃত্যুর পরও নায়িকাকে ভুলতে পারছিলেন না সাজিদ। আর এ কারণেই টাবু বারবার তাকে অতীত থেকে সরে আসতে বলতেন। কিন্তু সাজিদের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো ভবিষ্যৎ দেখতেন না টাবু। তাই সেই সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন অভিনেত্রী। 

আবার সাজিদের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার পর দক্ষিণী অভিনেতা নাগার্জুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন টাবু। সেই সময় বিবাহিত ছিলেন অভিনেতা।

বলিপাড়ার একাংশের দাবি— অভিনেত্রী টাবুর সঙ্গে ১০ বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে ছিল নাগার্জুনের। ১০ বছর পর টাবু বুঝতে পারেন যে, নাগার্জুন বিবাহবিচ্ছেদ করে তার সঙ্গে সংসার করবেন না। তাই সেই সম্পর্ক থেকেও বেরিয়ে আসেন টাবু। বর্তমানে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেত্রী। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম