সাইফকাণ্ড: রাতারাতি ২৫ লাখ টাকা মিটিয়ে প্রশ্নের মুখে বিমা কোম্পানি
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
সেলিব্রেটি বলে কথা। আর এ খ্যাতনামা হিসেবেই তারা সুবিধাভোগী— এমন অভিযোগ জনসাধারণের। আর অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা আবার প্রমাণিত হলো বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানকাণ্ডে। ২৫ লাখ টাকার মিটিয়ে দেওয়া প্রশ্নে সাধারণ এক ব্যক্তি চিকিৎসক সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আর এ অভিযোগের আঙুল তুলল মুম্বাইয়ের অ্যাসোসিয়েশন অব মেডিকেল কনসালট্যান্টস। ছুরিকাহত বলি তারকাকে শুশ্রূষা দিতে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার সুচিকিৎসার জন্য রাতারাতি ২৫ লাখ টাকা মঞ্জুর করে তার স্বাস্থ্য বিমা সংস্থা। একইভাবে চার দিনে ৩৬ লাখ টাকা পেতেও তার দেরি হয়নি।
অথচ সাধারণ মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসা খাতে সাইফের থেকেও কম অর্থ খরচ করে স্বাস্থ্য বিমার দ্রুত পরিষেবার এ বিশেষ সুবিধা পান না। কেন পান না?—এমন প্রশ্ন তুলেছে মুম্বাইয়ের অ্যাসোসিয়েশন অব মেডিকেল কনসালট্যান্টস। তারা এ-ও জানতে চেয়েছে— এ বৈষম্য কতটা কাম্য?
এক ব্যক্তি ওই চিকিৎসক সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি লিখেছেন। সে চিঠির ছবিও তিনি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে নিয়েছেন। তার পরেই টনক নড়ে সংগঠনের। অভিযোগকারীর মতে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিমা সংস্থা লীলাবতী হাসপাতালে অভিনেতার চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকা অনুমোদন করেছে। যে ধরনের অসুস্থতা নিয়ে অভিনেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তার ক্ষেত্রে এ ধরনের এফআইআর করা প্রয়োজন, যা সম্ভবত তারকা অভিনেতাকে দিতে হয়নি।
ওই ব্যক্তি আরও দাবি বলেছেন, আগে সাইফ আলি খানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। সব শ্রেণির গ্রাহককে সমান পরিষেবা দেওয়া হোক। অগ্রাধিকারমূলক চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়টি আটকাতে কড়া নিয়ম চালু হোক। জনসাধারণের আস্থা ফেরাতে নগদহীন চিকিৎসা অনুমোদনে স্বচ্ছতা আনা হোক।
একই সঙ্গে চিঠিতে অভিযোগকারী পুরো ঘটনাকে স্বাস্থ্য বিমা সংস্থার বৈষম্যমূলক আচরণের নিকৃষ্টতম উদাহরণ তকমা দিয়েছেন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি দেখিয়েছেন— কীভাবে খ্যাতনামা ও করপোরেট পলিসিধারকরা প্রায়ই অগ্রাধিকারমূলক চিকিৎসা পান। সে ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের টাকাও সহজে অনুমোদন পান। এ সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকদের সংগঠনের কাছে তার আবেদন— বিষয়টি যেন খতিয়ে দেখা হয়। বৈষম্য ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। নয়তো সাধারণ মানুষ বিমা সংস্থার ওপর আস্থা হারাবে। এতে আখেরে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বিমা সংস্থাগুলোকেই।