বাংলার পতৌদি পরিবারের নবাব বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের দুঃসময় যেন পিছু ছাড়ছে না। ছুরিকাঘাতের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সদ্যই বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। এর মধ্যেই বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন সাইফ আলি খান। মধ্যপ্রদেশ সরকার ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’র অধীনে সাইফের পারিবারিক সম্পত্তির দখল নিতে পারে। বর্তমানে যার বাজারমূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা।
গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এই সম্পত্তির ওপর দখল নেওয়ার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন ভোপাল হাইকোর্ট। পরে ২০২৪ সালে সাইফের আবেদন খারিজ করে দিয়ে স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। ফলে মধ্যপ্রদেশ সরকারের আর কোনো বাধা রইল না।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লাহ খান। তারই প্রপৌত্র সাইফ আলি খান। ভোপালের কোহেফিজা থেকে চিকলোড় পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি রয়েছে অভিনেতার।
১৯৫০ সাল থেকে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন হামিদুল্লাহর কন্যা আবিদা সুলতান। সেই থেকে ভোপালের ওই সম্পত্তি ছিল পতৌদিদের। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর অনেক মানুষ পাকিস্তান ও চীনে চলে গেলেও তাদের জমি, বাড়ি ও শেয়ারের মতো সম্পত্তি এখনো এ দেশে রয়ে গেছে। সেই সম্পত্তিগুলোকেই ‘শত্রুর সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
অর্থাৎ স্থায়ীভাবে পাকিস্তান ও চীনে চলে যাওয়া ভারতীয়দের সম্পত্তিতে তাদের বংশধরদের আর কোনো অধিকার থাকবে না। তাই সরকার এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রিও করতে পারবে। ফলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও মধ্যপ্রদেশ সরকারের এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন সাইফ ও তার পরিবার।
উল্লেখ্য, অভিনেতা সাইফ আলি খান বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে নিজ বাড়িতে দুষ্কৃতকারীর হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছিলেন। সেখানে তাকে অস্ত্রোপচার করানো হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে নেওয়া হয়। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও মেরুদণ্ডের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ক্ষত হওয়ার শঙ্কা ছিল। অবশেষে পাঁচ দিন হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ হয়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাড়ি ফেরেন অভিনেতা।