Logo
Logo
×

বিনোদন

৪ ঘণ্টা অজ্ঞান ছিলাম, সবাই ভেবেছিল মারা গেছি: আমিশা

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৮ এএম

৪ ঘণ্টা অজ্ঞান ছিলাম, সবাই ভেবেছিল মারা গেছি: আমিশা

ফাইল ছবি

ঘটনা ২০২৩ সাল। ‘গদর ২’ এমন একটি সিনেমা, যা ৯০ দশকের মানুষের কাছে নিঃসন্দেহে একটি নস্টালজিক অনুভূতি নিয়ে এসেছিল। বহু বছর পর সাকিনা ও তারা সিংয়ের সেই প্রেম দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছিলেন দর্শকরা। তবে এই আইকনিক ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে রীতিমতো জীবন নিয়ে টানাটানি পড়ে যান বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ঠিক কী এমন হয়েছিল সেদিন সিনেমা সেটে জানালেন অভিনেত্রী?

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আমিশা প্যাটেল বলেন, একটি সিনে আমার পানির মধ্যে কিছুক্ষণ থাকতে হতো। আমি পরিচালককে বারবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম— পানি গরম আছে কিনা। অনিল জি আমাকে বলেছিলেন— পানি গরম থাকবে, আমি যেন চিন্তা না করি। কিন্তু যখন শট দিতে যাই, তখন দেখি পারি কনকনে ঠান্ডা।

তিনি বলেন, আমি একটি পাতলা সালোয়ার-কামিজ পরেছিলাম। প্রথম যখন আমার ওপর পানি ঢালা হয়, তখন আমি রীতিমতো কাঁপছিলাম। কারণ পানি বরফের মতো ঠান্ডা ছিল। ঠান্ডা পানি নিয়েই গোটা শুট হয়, ততক্ষণে আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হতে থাকে। অভিনেত্রী বলেন, শুট শেষ হওয়ার পর আমার সহকর্মীরা আমাকে ব্র্যান্ডি দেন। আমার পা ঘষে দেন, কিন্তু আমার তখন সারা শরীর ঠান্ডায় বরফের মতো জমে হয়ে গেছে। 

আমিশা বলেন, সবাই অনেক চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষণে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমাকে তড়িঘড়ি মেকআপ ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রায় চার ঘণ্টা আমার জ্ঞান ছিল না। সবাই প্রায় ভেবেছিলেন আমি আর বাঁচব না, মারা গেছি।

অভিনেত্রী বলেন, ৪ ঘণ্টা পর যখন আমি চোখ মেলে তাকিয়ে ছিলাম, তখন দেখি সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বুঝতে পারি আমাকে নিয়ে ভীষণ টেনশনে ছিলেন তারা। কিন্তু এই চার ঘণ্টায় ঠিক কী হয়েছিল তা আমার মনে নেই।

সানি দেওল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার অসুস্থতার সময় সানি স্যার আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছিলেন। ব্লাড প্রেশার মেশিন নিয়ে এসে রক্তচাপ মাপেন, থার্মোমিটার নিয়ে এসে জ্বর মাপেন। তড়িঘড়ি চিকিৎসক ডেকে নিয়ে আসেন। ততক্ষণে যদিও স্থানীয় একজন চিকিৎসক এসেছিলেন, কিন্তু তিনি ইনজেকশন দিতে ভয় পাচ্ছিলেন। কারণ আমি বমি করছিলাম বারবার। সানি চাননি কোনো ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হোক। তাই তিনি তার পরিচিত চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসেন।

উল্লেখ্য, ‘গদর ২’ বক্স অফিসে প্রায় ৫০০ কোটির বেশি আয় করে। ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম ছিল এ সিনেমাটি। যদিও শুরু আয়ের দিক থেকে নয়, জনপ্রিয়তার দিক থেকেও এ সিনেমাটি এগিয়েছিল অনেকটাই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম