Logo
Logo
×

বিনোদন

গোবিন্দ-সুনীতার ৩৭ বছরের দাম্পত্যে ‘চিড়’

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫১ পিএম

গোবিন্দ-সুনীতার ৩৭ বছরের দাম্পত্যে ‘চিড়’

ছবি: যুগান্তর

১৯৮৭ সালে বলিউড অভিনেতা গোবিন্দ ও সুনীতা আহুজার বিয়ে হয়। সুনীতা তখন সবেমাত্র ১৮ বছর বয়স। দীর্ঘ দাম্পত্যে সমীকরণ সময়ের সঙ্গে বদলেছে বলে জানিয়েছেন গোবিন্দপত্নী। দাম্পত্যের বয়স এখন ৩৭ বছর। কিন্তু সেই সম্পর্কের সমীকরণ কি বদলে গেছে? গোবিন্দের স্ত্রী সুনীতা আহুজার সাম্প্রতিক মন্তব্যে অবশ্য সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বলিউডের অন্দরে পর্দার ‘হিরো নম্বর ওয়ান’কে নিয়ে শুরু হয়েছে নানান চর্চা।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সুনীতা জানিয়েছেন যে, তিনি ও গোবিন্দ এখন আলাদা থাকছেন। সন্তানদের নিয়ে থাকেন সুনীতা। আর সেই বাড়ির বিপরীতে একটি বাংলোতে একা থাকেন গোবিন্দ। প্রতি দিনের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে অভিনেতা নাকি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় ব্যস্ত থাকেন। 

সুনীতা বলেন, আমি ওকে বলেছি— আগামী জন্মে ও যেন আমার স্বামী না হয়। ও কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায় না, যেতেও চায় না। আমার তো রাস্তায় ওর সঙ্গে দাঁড়িয়ে একটু ফুচকা খেতেও ইচ্ছে করে। আমরা দুজনে একসঙ্গে শেষ কবে একটা সিনেমা দেখতে গেছি, সেটিও আমার মনে নেই।

তিনি বলেন, স্বামী এখন তার পেছনে কী কী করেন, তা তিনি জানেন না। কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। মানুষ সময়ের সঙ্গে রঙ বদলায়। ৩৭ বছর হয়ে গেল আমাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এখন কী করে— আমি কিছুই জানতে পারি না।

গোবিন্দপত্নী বলেন, তিনি এখন আর গোবিন্দকে বিশ্বাস করেন না। আগে আমাদের দাম্পত্য সুরক্ষিত বোধ করতাম। কিন্তু এখন আর করি না। এখন ওর ৬০-এর বেশি বয়স। জানি না কখন কী করবে। 

সুনীতা বলেন, আগে কাজের ব্যস্ততায় কোনো রকম পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল না গোবিন্দের। কিন্তু এখন তো বসেই থাকে। তাই ভয় হয়, কিছু করে না বসে।

সুনীতার বক্তব্যে বলিউডের অন্দরে গোবিন্দকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা মন্তব্য করছেন— দম্পতি নাকি বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত গোবিন্দ পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। 

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে বাড়িতে অসাবধানতাবশত নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছুটে আহত হন গোবিন্দ। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত স্বামীর পাশেই দেখা গিয়েছিল সুনীতাকে। আগামী দিনে দুজনের সম্পর্কের সমীকরণ কোন পথে বাঁক নেয়, সেদিকে নজর থাকবেন ভক্ত-অনুরাগীরা।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম