অঞ্জনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি নেওয়া হবে, জানাজা বাদ জোহর
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৯ এএম
![অঞ্জনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি নেওয়া হবে, জানাজা বাদ জোহর](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/01/04/852147-6778c03f4e3e1.jpg)
টালিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা রহমান না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন মারা যান।
অঞ্জনা রহমানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি প্রাঙ্গণে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর বনানী কবরস্থানে শায়িত করা হবে তাকে। গণমাধ্যমকে এমনটিই জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা মিশা সওদাগর।
তিনি বলেন, শনিবার বাদ জোহর অঞ্জনাকে এফডিসিতে নেওয়া হবে। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন চলচ্চিত্রের সহকর্মী থেকে সাধারণ ভক্ত-অনুরাগীরা। পরে সেখানেই প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর এফডিসি থেকে অঞ্জনার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
মিশা বলেন, অঞ্জনার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি— তাদের প্রথম চয়েস বনানী কবরস্থান, সেখানে কোনো কারণে দাফন করা না গেলে জুরাইন কবরস্থান বিকল্প হিসেবে ভেবে রাখা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তির আগে টানা ১৫ দিন জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন এ নৃত্যশিল্পী। ওষুধ খেয়েও কোনো কাজ হচ্ছিল না তার। পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায়, তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অঞ্জনা রহমানকে। কয়েক দিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এ নৃত্যশিল্পী। গতকাল শুক্রবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় অভিনেত্রী। এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন অঞ্জনা রহমান। ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ ও ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এ ছাড়া মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।