বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান একটা সময় কাজ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। অভিনেত্রীর কাজের সময় সিদ্ধার্থ থাকবে না সেটে, তা না হলে সেই কাজ ছেড়ে দেবেন বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। পরে নির্মাতাদের তরফে অভিনেত্রীকে আশ্বস্ত করা হয় যে, শুটিং সেটে সিদ্ধার্থ থাকবেন না।
আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিগত জীবন ক্যামেরার আড়ালে রাখতেই বেশি পছন্দ করেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে দাম্পত্যের এক যুগ কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। বেশ কয়েক বছর প্রেমপর্বের পর ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েন দুজনে। পেশাগত দিক থেকে একই ক্ষেত্রে বিচরণ করলেও স্বামীর সঙ্গে কাজ করতে নারাজ অভিনেত্রী। একসময় প্রকাশ্যে এমনই জানিয়েছিলেন বিদ্যা। কিন্তু কেন? এর উত্তরে যে কথা বললেন অভিনেত্রী।
বিদ্যা বালান বলেন, পেশাগত ও ব্যক্তিগত দিক সবসময় পৃথক রাখা উচিত। সম্পর্কে যেমন পেশার প্রভাব পড়া উচিত নয়, ঠিক তেমনই ব্যক্তিগত সমীকরণের জেরে পেশা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মুশকিল। আরও একটি ব্যাখ্যা রয়েছে অভিনেত্রীর। অন্য পরিচালক বা প্রযোজকদের সঙ্গে পেশাদারের মতো করেই মত আদানপ্রদান করতে পারেন বিদ্যা। সে ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা হলে সরাসরি বলতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধার্থের সঙ্গে সেই সহজ কথোপকথন হবে না বলেই জানান অভিনেত্রী। সেখানে পেশাদারিত্ব ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত সমীকরণ প্রকট হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিশেষত পারিশ্রমিক নিয়ে মধ্যস্থতা করতে পারবেন না নিজের স্বামীর সঙ্গে। বিদ্যা বলেন, সিদ্ধার্থের সঙ্গে যেহেতু আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক, আমার মনে হবে ওর সঙ্গে লড়াই করতে পারি, যা বলছি তা নিয়ে জোর করতে পারব।
এ অভিনেত্রী বলেন, তার ও সিদ্ধার্থের মধ্যে প্রায়ই তর্কবিতর্ক হয়। পেশার কারণে নিজেদের মধ্যে বাড়তি দ্বন্দ্ব তৈরি করতে চান না তিনি। তিনি বলেন, এমনও হয়েছে— বাড়িতে অশান্তি এড়াতে কিছু চিত্রনাট্য ছেড়েও দিতে হয়েছে তাদের। ব্যক্তিগত সম্পর্ক তার কাছে মূল্যবান। তাই সচেতনভাবেই স্বামীর সঙ্গে কাজ করা এড়িয়ে যান অভিনেত্রী।
বিদ্যা বালান বলেন, অতীতে ‘ঘনচক্কর’ ছবিতে সিদ্ধার্থের সঙ্গে কাজ করতে হয়েছিল, যে অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর ছিল না। সেই সময় কাজ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বলেও জানান অভিনেত্রী। পরে নির্মাতাদের তরফে অভিনেত্রীকে আশ্বস্ত করা হয় যে, বিদ্যার কাজের সময় সিদ্ধার্থ থাকবেন না সেটে।