মৌখিকভাবে আর কিছুই হবে না, যা হবে আইনি পথে: পরমব্রত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
এবার যা হবে, আইনি পথে। ডিরেক্টর্স গিল্ড ও ফেডারেশনের সদস্যরা আগামীতে যা যা সমস্যার মধ্যে পড়বেন, আইনের সাহায্যেই তার মীমাংসা হবে। মৌখিকভাবে আর কিছুই হবে না— মঙ্গলবার ফেডারেশনের বিরুদ্ধে পরিচালক সংগঠনের আইনি পদক্ষেপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর বললেন টালিউড অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা সংগঠনের কার্যকরী সমিতির অন্যতম সদস্য তিনি। এদিনের সংবাদ সম্মেলনেও যথেষ্ট সরব ছিলেন পরমব্রত। রাজ্যসরকারের ওপরে আস্থা রেখেছিলেন। ভরসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপরে। ফল না মেলায় বাধ্য হয়ে পরিচালক গিল্ড আইনি পথে যাবেন বলে জানালেন প্রযোজক-পরিচালক ও অভিনেতা।
ঘটনার সূত্র জুলাই মাসে— গিল্ড ও ফেডারেশনের মধ্যে দ্বন্দ্ব। পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পূজার ছবি কেন্দ্র করে এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। সেই বিরোধ এতটাই চরম আকার ধারণ করে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন।
পরমব্রত বলেন, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিচালক গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সংসদ সদস্য-অভিনেতা দেব, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির ওপরে দায়িত্ব ছিল— তিন মাসের মধ্যে ফেডারেশনের তুঘলকী কার্যকলাপ খতিয়ে দেখবে। তিন মাস তো দূরে থাক, চার মাসের কাছাকাছি পৌঁছেও সেই কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যথা নেই রাজ্যসরকারেরও।
হতাশার সুর অভিনেতার কণ্ঠে। একই সঙ্গে আফসোস, গিল্ড রাজ্যসরকারের ওপরেই ভরসা করতে চেয়েছিল। সেই ভরসা ফলপ্রসূ না হওয়ায় আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে পরিচালক সংগঠন। আগামীতে অন্যান্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হলেও সংগঠন তা-ই করবে। পরিচালক-প্রযোজকদের বিরুদ্ধে কটূক্তিও করতে শোনা গেছে ফেডারেশনের সদস্যদের। পরমব্রতের মতে, তার জন্য ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বিষোদ্গার করা হয়েছে, তার পর আর হাসিমুখে চা-শিঙাড়া খেতে খেতে আলোচনা সম্ভব নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে দুই পক্ষের আলোচনা হতেই পারত। কিন্তু কেউ-ই তার উদ্যোগ নেয়নি।