আয়নায় নিজেকে দেখে ভেঙে পড়তেন সোনম, কেন এ হীনম্মন্যতা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা অনিল কাপুরের মেয়ে শুনেই যেন মুষড়ে পড়তেন সোনম। কারণ তার লোমশ চেহারা। অবশেষে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন বলিপাড়ার এক অভিনেত্রীকে দেখে।
আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, মায়ানগরীতে তাকে বলা হয় চির তরুণ৷ প্রতিটি জন্মদিনে সবার বয়স বাড়ে। কিন্তু তার বয়স যেন আটকে রয়েছে একই জায়গায়। তিনি হচ্ছেন বহুল জনপ্রিয় 'নায়ক'খ্যাত সিনেমার নায়ক অনিল কাপুর। সুপুরুষ বলে তকমা দেওয়া হয় তাকে। আবার একইভাবে অনিলের শরীরের লোম নিয়ে কম ঠাট্টাতামাশা হয়নি নেটপাড়ায়। এ ক্ষেত্রে নাকি মেয়ে সোনম কাপুর একেবারে বাবার মতো।
বলিপাড়ায় ছিপছিপে সুন্দরী অভিনেত্রী বলে নামডাক রয়েছে তার। তবে একটা সময় ছিল যখন নিজেকে আয়নায় দেখে ভেঙে পড়তেন সোনম। লোকে ঠাট্টা করে বলত— ‘এই দেখ অনিল কাপুরের মেয়ে’। আর তা শুনেই যেন মুষ়ড়ে পড়তেন তিনি। কারণ তার লোমশ চেহারা। অবশেষে আত্মবিশ্বাস ফিরে পান এক অভিনেত্রীকে দেখেই।
বয়ঃসন্ধির সময় থেকে শরীরে অল্প অল্প পরিবর্তন হতে শুরু করে সোনমের। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সারা মুখে লোমে ভরে যায়। যে বয়সে নিজেকে সুন্দরী ভাবার কথা, সেই বয়স থেকে মুখে লোম, গালভর্তি ব্রণ। অনেকেই কটাক্ষ করে বলতেন—এই দেখ অনিল কাপুরের মেয়ে’। শুনে আরও ভেঙে পড়তেন সোনম।
অভিনেত্রী বলেন, অল্প বয়সে ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ বা পিসিওডি ধরা পড়ে তার শরীরে। সে কারণেই এমন পরিবর্তন। তবে অভিনেত্রী ভরসা পান অভিনেত্রী কাজলকে দেখে। তিনি বলেন, তার মা-ই মেয়ের হীনম্মন্যতা দূর করতেই কাজলের ছবি দেখান। সেই সময় জোড়া ভ্রু ছিল কাজলের। মুখে লোম ছিল। তবু নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সফল অভিনেত্রী হতে পেরেছিলেন অজয়পত্নী। সেটি দেখেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পান অনিলকন্যা।