বলিউডের নতুন তারকাদের নিয়ে আক্ষেপ অক্ষয়-অজয়ের
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও অজয় দেবগন একই সুরে কথা বললেন নতুন প্রজন্মের তারকাদের নিয়ে। তারা নাকি একে অপরের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত নন। নতুন প্রজন্মের মধ্যে কোনো একতা নেই বলেও জানান এ দুই অভিনেতা।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে দক্ষিণী সিনেমার জগৎ। গত কয়েক বছরে এই প্রবণতা বেশ খানিকটা বেড়েছে। ক্রমশ দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দক্ষিণী ছবিগুলো। সারাবিশ্বে বাড়ছে রমরমা ব্যবসা।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খিলাড়িখ্যাত অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও অজয় দেবগন একই সুরে কথা বললেন। তারা নতুন প্রজন্মের বলিউড তারকাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, একে অপরের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত নন নতুন প্রজন্মের তারকারা।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রোহিত শেঠি পরিচালিত ছবি ‘সিংহাম অ্যাগেইন’। রোহিতের ‘পুলিশ ব্রহ্মাণ্ডে’র নবতম সংযোজন এই ছবি যেখানে একাধিক তারকার সমাবেশ ঘটিয়েছেন তিনি। সেই ছবিতেই দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে কাজ করেছেন অজয় ও অক্ষয়। কেন দক্ষিণী ছবির থেকে পিছিয়ে পড়ছে বলিউড এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অজয় বলেন, দক্ষিণী তারকারা যেভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ান, তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। সত্যি কথা বলতে— বলিউডে এই বিষয়টির অভাব রয়েছে। তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন অক্ষয় কুমারও। তিনি বলেন, আমিও মনে করি আমাদের মধ্যে সেই পরিমাণ একতা নেই।
গত প্রায় তিন দশক ধরে বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে পড়েন অজয় ও অক্ষয়। এতদিন পর কেন তাদের এমন মনে হচ্ছে? এ বিষয়ে অজয় বলেন, অক্ষয়, আমি বা শাহরুখ কিংবা সালমান খান— আমরা কিন্তু একে অপরের পাশে দাঁড়াতেই অভ্যস্ত। ধরা যাক, অক্ষয়ের কোনো ছবি মুক্তির সঙ্গে আমার ছবি মুক্তি নিয়ে সমস্যা তৈরি হলো, আমরা কিন্তু অনায়াসে একে অন্যকে ফোন করতে পারি। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে কথা বলতে পারি। একেবারেই কোনো উপায় না পাওয়া গেলে হয়তো আমরা দুজন দুজনের ছবির প্রচারে যোগ দেব।
তিনি তুলে আনেন ‘সন অফ সর্দার’-এর প্রসঙ্গ। এ ছবির নাম প্রথমে অক্ষয়ের ছবির সঙ্গেই জুড়েছিল। পরে তা বদলে যায়। অজয়ের দাবি— এটা পারস্পরিক সম্পর্কেরই ফল। কিন্তু এই কয়েকজন অভিনেতার বাইরে বলিউডে বন্ধুত্ব বা একতার দৃষ্টান্ত প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে।
অক্ষয় অবশ্য আশাবাদী। তিনি বলেন, এই যে আমরা এখানে এই বিষয়ে আলোচনা করছি, এটা আশার কথা। কারণ নতুন প্রজন্মের তারকারা হয়তো আমাদের কথা শুনবেন।
মনে করা হচ্ছে, এই কথোপকথনের আসল লক্ষ্য ‘ভুলভুলাইয়া ৩’-এর নির্মাতারা। দীপাবলির সময় এই দুটি ছবি মুক্তি পায়। ফলে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল।