আলোচিত ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি নিয়ে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া বিয়ের খবরটি বিভ্রান্তিকর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিয়ের ছবি ভাইরাল হলেও আফ্রিদির পরিবার ও কনের পরিবার স্পষ্ট করেছে- তিনি রাইসাকে বিয়ে করেননি। রাইসা আফ্রিদির শ্যালিকা। তিনি জানান, তার যমজ বোন রিসার সঙ্গে আফ্রিদির বিয়ে হয়েছে। এর আগে একটি টিকটক ভিডিওতে আফ্রিদির বিয়ের ছবি প্রকাশিত হলে, রাইসাকে বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। এ বিষয়ে
আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন আফ্রিদির শ্যালিকা।
রাইসা বলেন, দেখুন, আমি আর আমার বোন কেউই টিকটক স্টার না। আমাকে টিকটকে দেখেছে, এমন মানুষও আপনি তেমন খুঁজে পাবেন না। তবে হ্যাঁ, আমি ব্র্যান্ড প্রমোট করি। কিন্তু ২০২৩ বিয়ে এবং এরপর মা হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিলাম না। আমার পরিবার, স্বামীর পরিবারের একটা ভালো পরিচিতি আছে। এরপরও এমন বুলিং কাম্য নয়।
যেসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে এসব করা হয়েছে, সেসবের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে উল্লেখ করে রাইসা বলেন, পরিবারের কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষের উপস্থিতিতে কাবিন হয়েছে। আমরা চাচ্ছিলাম, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর সব সামনে আসুক। কিন্তু একটি অ্যাকাউন্ট থেকে বিয়ের বিভিন্ন মুহূর্ত সামনে এসেছে। এরপরই অনেকে ভুল তথ্য দিয়ে সেগুলো ভাইরাল করেছেন। আমরা সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আফ্রিদির বিয়ে নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা চর্চা চলছিল ঠিক তখন আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা গেছে গোপনে বিয়ে করেছি। বিষয়টি তা নয়। বিয়েতে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শুধুই কাবিন হয়েছে। মূল অনুষ্ঠান তো পরে করা হবে। আর আমি তো দেখতে গিয়ে বিয়ে করেছি।
তরুণ প্রজন্মের এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানান, তার স্ত্রীর বোন টিকটক করেন। দুজনই দেখতে অনেকটা একইরকম। এ জন্য অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী রামিশাকে টিকটকার মনে করছেন।
বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েকে দেখতে গিয়ে তাদের বাড়িতে বিয়ে করে ফেলেছি। পারিবারিক আয়োজনেই হয়েছে তা। আর সেই আয়োজনে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বড় পরিসরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার অনুষ্ঠান করা হবে।