সুকেশের কোটি টাকা উপহারের উৎসের বিষয়ে জানতেন না জ্যাকুলিন!
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রায় ১ বছর আগে সুকেশ চন্দ্রশেখরের দুইশ’ কোটি অর্থ পাচার ও চাঁদাবাজি মামলায় নাম জড়ায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। বিষয়টি নিয়ে বারবার শিরোনামেও আসছেন এই অভিনেত্রী। এমনকি গত জুন মাসের শেষেও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সুকেশ তার প্রতারিত অর্থ থেকে জ্যাকলিনকে ৫ কোটি রুপির বেশি মূল্যের উপহার দিয়েছেন। এ কারণে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, এই উপহারগুলো যে অপরাধের আয়ে কেনা সে সম্পর্কে সচেতন ছিলেন অভিনেত্রী।
তবে বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের পক্ষে যুক্তিতর্কের কিছু অংশ শোনা হয়। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।
জ্যাকুলিনের আইনজীবী ভারতের হাইকোর্টে দাবি করেছেন, অভিনেত্রী অর্থ পাচারের অপরাধে জড়িত ছিলেন না। তিনি জানতেন না যে, সুকেশের থেকে পাওয়া উপহারগুলো কথিত অপরাধের আয়ের অংশ ছিল।
এই শুনানি চলাকালে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, উপহারের উৎস জানা কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কর্তব্য কি-না?’ বিষয়টি নিয়ে আরও যুক্তিতর্কের জন্য ২৬ নভেম্বর ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রবীণ আইনজীবী সিদ্ধার্থ আগরওয়াল, প্রশান্ত পাতিল এবং শক্তি পান্ডে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের হয়ে শুনানি করেন। জ্যাকুলিন যুক্তি দিয়েছিলেন, তিনি জানতেন না যে তিনি যে উপহারগুলো পেয়েছেন তা অপরাধের আয়ের অংশ। তিনি জানতেন না যে সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে তিনি যে উপহারগুলো পেয়েছিলেন তা অদিতি সিংয়ের কাছ থেকে তোলাবাজির টাকায় কেনা হয়েছিল।
ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর অভিযোগ, সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করেননি জ্যাকলিন। সুকেশের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদন দেখতে পান সুকেশকে নিয়ে। কিন্তু পত্রিকার প্রতিবেদন সত্য না মিথ্যে তা তিনি বোঝেননি।
এদিন আদালতে আরও বলা হয়, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন দেখার পর জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তবে তিনি জানতেন না যে, উপহারগুলো অপরাধের উপার্জনের অংশ ছিল। তিনি অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।