নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের বাড়িতে অন্যদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপনে শামিল হয়েছিলেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ তাকে নিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিনেতা, ক্ষুব্ধ নীলাঞ্জনা।

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, টালিউড অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তকে বিয়ে করে প্রচারের আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন টালিউড প্রযোজক ও অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। একসময় নিজে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভালোই নামডাক হয়েছিল তার। আচমকা যিশুকে বিয়ে করে সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। 

এখন প্রযোজক হিসেবে ছোটপর্দায় নিজের প্রভাব বিস্তার করছেন নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। তবে কিছু দিন আগে পর্যন্ত যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ঘিরেই বেশি আলোচনা চলছে। এই আলোচনার শুরু হয় যখন ইনস্টাগ্রামের পাতায় দেখা যায় নিজের নাম থেকে সেনগুপ্ত পদবিটা সরিয়ে নেন নীলাঞ্জনা। 

খ্যাতির বিড়ম্বনায় নাজেহাল তারকাজীবন! তাদের দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে ছেদ পড়তে চলেছে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সংবাদমাধ্যমে। নীলাঞ্জনাও মাঝেমধ্যে সামাজিকমাধ্যমে কথার ভাঁজে বিচ্ছেদের আভাস দিয়েছেন। সম্পর্ক নিয়ে বক্রোক্তিও করেছেন। ফলে বিতর্কে নিত্য ইন্ধন সে সবও। যদিও যিশু একেবারেই নীরব। ফলে এক পক্ষের বক্তব্য নিয়েই নিত্য চর্চা।

ভাইফোঁটার সন্ধ্যায় তাতে নতুন প্রলেপ। দীপাবলির উদযাপনে পেশায় প্রযোজিকার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অন্যদের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দেন এ অভিনেতাও। ছবি তোলেন নীলাঞ্জনার সঙ্গে। এ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে রাহুল লিখেছেন—দিদির বাড়িতে দীপাবলি। 

একটি ছবিতে তিনি, অভিনেতা প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও যিশু-নীলাঞ্জনার বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্ত। অন্যটিতে সবার সঙ্গে রাহুল ও নীলাঞ্জনা। সেই ছবি হঠাৎ করেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম। দাবি— যিশুর অনুপস্থিতিতে ছোটপর্দার এই অভিনেতার সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন নীলাঞ্জনা! সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোপ দেগেছেন অভিনেতা। 

আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তার অভিযোগ— যার হাত থেকে প্রতি বছর রাখি পরেন, তাকে কী করে এই চোখে দেখতে পারেন তিনি?

ফোনে যোগাযোগ করতেই রাহুল একই সঙ্গে বিস্ফোরক ও বিরক্ত। তিনি বললেন, উপরে লিখে দিয়েছি— দিদির বাড়িতে দীপাবলি। তারপরও কথা থাকে? রাহুল আরও জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে খুব ভালো নেই নীলাঞ্জনা। বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে তার এবং তাদের সন্তানদের জীবনে। সবাই সেটি জানেন। তারপরও এভাবে কুৎসা ছড়ানো যায়? রাহুলের আফসোস—মানবিকতা, মূল্যবোধ এতটাই তলানিতে ঠেকেছে যে, দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কও এখন ঠুনকো।