ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরী গৃহকর্মী। ভয়ঙ্কর নির্যাতনে তার সামনের পাটির চারটি দাঁত উপড়ে ফেলা হয়েছে, বীভৎসভাবে সারা শরীরে ‘হেয়ার স্ট্রেইনার’ যন্ত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে ছ্যাঁকা।
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যের আসার পরে তীব্র প্রতিবাদে উত্তাল সামাজিক মাধ্যম। পরে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী দিনাত জাহান আদরকে আটক করে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এমন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
ওই স্ট্যাটাসে মেহজাবীন অভিযুক্ত সেই নারীর নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে বিভিন্ন নীতিকথার একটি স্ট্যাটাসের উদাহরণ তুলে ধরে লেখেন, বামে যেই ছবিটা দেখা যাচ্ছে, সেটা একজনের পোস্ট, যিনি একজন গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেছেন (এখনও প্রমাণিত হয়নি মনে হয়, ইনভেস্টিগেশন চলছে)। আর ডান পাশের মানুষটি হলেন সেই নির্যাতিত গৃহকর্মী। দয়া করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা কিছু দেখছেন, সবকিছু বিশ্বাস করবেন না। অনেকেই শুধু ভান করছে। কেউ ভালো সাজে, কেউ নিজেকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখায়, কেউ ক্ষমতাশীল বলে দাবি করে, আবার কেউ নিরপরাধের অভিনয় করে।
অভিনেত্রী তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, বাস্তবে, প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে অভিনয় করছে, আর কেউ কেউ তো বুঝতেও পারে না যে তারা কী করছে। তবে মনে রাখবেন, সবকিছুই সত্য নয় যা আপনি অনলাইনে দেখেন। মানুষজন নিজেদের নিয়ে বড় বড় কথা লিখে, কিন্তু আমি সবসময় বিশ্বাস করি, কাজ কথার চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
সর্বশেষ ভক্তদের উদ্দেশে মেহজাবীন লেখেন, সোশ্যাল মিডিয়া বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করুন। আগে মানুষ হোন, তারপর ভালো মানুষ সাজুন। অনলাইনে কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন সেটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার বাস্তবের কাজ। এই ছবিটি গত কয়েকদিন ধরে এতবার দেখেছি যে এটা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
তিনি লেখেন, যারা গৃহকর্মীর সাহায্য নেন, তাদের হয় সাহায্য করুন, বুঝিয়ে বলুন আর যদি তারা আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারে, তাহলে তাদের ছেড়ে দিন। কিন্তু তাদের ক্ষতি করবেন না। কারও জীবন নষ্ট করবেন না। শারীরিক বা মানসিকভাবে ভেঙে ফেলবেন না। এটা শুধু ভুল নয়, এটা অপরাধ। অপরাধী হবেন না।’