সালমানকে হত্যার হুমকি, কে এই গ্যাংস্টার বিষ্ণোই?
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
লরেন্স বিষ্ণোই ভারতের একটি আলোচিত এবং কুখ্যাত গ্যাংস্টার, যার নাম বিভিন্ন বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ৩১ বছর বয়সি এই ব্যক্তি পাঞ্জাব থেকে উঠে আসলেও তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ এবং আন্তর্জাতিক মহলেও।
বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দি থাকলেও তার অপরাধ জগতে প্রভাব এতটুকু কমেনি। ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার হত্যাকাণ্ডে তার নাম উঠে এসেছে।
এছাড়া বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের অপরাধ জগতে প্রবেশ ছাত্রজীবন থেকেই। চণ্ডীগড়ের একটি কলেজে পড়াশোনা চলাকালীন ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করে, সেখানে সহিংসতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সে। কলেজে মারামারি এবং গোলাগুলির মতো অপরাধে নাম উঠে আসার পর থেকেই তার অপরাধ জগতের উত্থান শুরু হয়।
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, চাঁদাবাজি এবং হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধ পরিচালনা করে বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। তার গ্যাং-এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭০০, যারা পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লিতে সক্রিয়। পুলিশ জানায়, কানাডায় বসবাসরত বিষ্ণোইয়ের সহযোগী গোল্ডি ব্রার দূর থেকে এই গ্যাং পরিচালনা করছে।
কানাডার পুলিশও সম্প্রতি দাবি করেছে, ভারত সরকার খালিস্তানি নেতাদের টার্গেট করতে বিষ্ণোইয়ের গ্যাংকে ব্যবহার করছে।
যদিও ভারত সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে ৩০টিরও বেশি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ১৯টি বর্তমানে বিচারাধীন। তবুও তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেমে নেই, কারাগারে থেকেও সে নির্বিঘ্নে তার গ্যাং পরিচালনা করছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এই গ্যাংস্টারের প্রভাব শুধু অপরাধেই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও স্পষ্ট। অনেক তরুণের কাছে সে অপরাধী জীবনযাপন এবং গ্ল্যামারের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা পাঞ্জাবের সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতির এক বিকৃত প্রতিফলন।
বিষ্ণোইয়ের অপরাধী জীবনের শুরু এবং তার প্রভাব বিস্তারের গল্পটি ভারতের অপরাধ জগতের একটি অন্ধকার দিককে প্রকাশ করে, যা পুলিশ এবং সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
সূত্র: বিবিসি