Logo
Logo
×

বিনোদন

কত সম্পত্তির মালিক ছিলেন বাবা সিদ্দিকি?

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৮ পিএম

কত সম্পত্তির মালিক ছিলেন বাবা সিদ্দিকি?

ছবি : সংগৃহীত

গত শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী এবং ভারতের রাজনৈতিক দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা বাবা সিদ্দিকীকে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই খুনের সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গোষ্ঠী জড়িত বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। এই গোষ্ঠীটিই বলিউড তারকা সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলো।

১৯৫৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিহারের গোপালগঞ্জে জন্ম সিদ্দিকির। পরে মহারাষ্ট্রে চলে আসেন তিনি। বাবা সিদ্দিকির আসল নাম জিয়াউদ্দিন সিদ্দিকি। তবে বাবা সিদ্দিকি নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে, ১৯৭৭ সালে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন বাবা।

খুব অল্প বয়সেই ছাত্র এবং যুব কংগ্রেসের অন্যতম মুখ হিসেবে জনপ্রিয়তা পান বাবা। বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে পড়ে যান। এর পর থেকেই তরতরিয়ে উত্থান বাবার। তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত বাবা পরিচিত ছিলেন বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং তারকাখচিত পার্টির আয়োজন করার জন্যও।

২০১৩ সালে তার পার্টিতেই দীর্ঘদিনের মান ভাঙে বলিউড তারকা শাহরুখ খান এবং সালমান খানের। দুই খানকে দু’পাশে নিয়ে তোলা তার সেই ছবি স্মরণীয় হয়ে আছে।

এদিকে বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর নেটদুনিয়ায় আলোচনায় উঠে আসে তার সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে। অনেকেই জানতে চান তিনি কত সম্পদের মালিক। চলুন জেনে নেই সম্পর্কে।

নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী মোট ৭৬ কোটি টাকার মালিক ছিলেন বাবা। তবে জনশ্রুতি রয়েছে, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এর থেকে অনেক বেশি।

২০১৮ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাবার ৪৬২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এর মধ্যে ছিল মুম্বাই শহরে ৩৩টি অ্যাপার্টমেন্ট। বাবার বিরুদ্ধে বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পে দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছিল।

বাবা সিদ্দিকির হলফনামায় নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা টাকা এবং একাধিক সংস্থায় বিনিয়োগসহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে।

মার্সিডিজ় বেঞ্জের মতো বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি বিশেষ প্রেম ছিল বাবার। তার গ্যারাজে ছিল বিভিন্ন নামিদামি গাড়ির সম্ভার। সোনা এবং হীরার গয়নার প্রতিও আসক্ত ছিলেন তিনি। তার সংগ্রহে মোট ৩০ কোটির বহুমূল্য গয়না ছিল বলে অনুমান করা হয়।

১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনৈতিক জীবন শুরু বাবার। প্রথমে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এবং পরে যুব কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি মুম্বইয়ের পুর কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পদের ভারও বাড়তে থাকে। ১৯৯৯ সালে বান্দ্রা পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক হন বাবা। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালেও ওই আসন থেকে জিতেন। তৎকালীন মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রীও হন। পরে কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন।

বাবার স্ত্রীর নাম শেহজিন সিদ্দিকি। দম্পতির দুই সন্তান— কন্যা আরশিয়া সিদ্দিকি এবং পুত্র জিশান সিদ্দিকি। জিশান নিজে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং একজন বিধায়ক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম