Logo
Logo
×

বিনোদন

নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে বাবা সিদ্দিকী ঘনিষ্ঠ সালমান খান

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম

নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে বাবা সিদ্দিকী ঘনিষ্ঠ সালমান খান

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী আততায়ীদের গুলিতে মারা গেছেন। গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুম্বাইয়ের খের নগরে নিজের ছেলের অফিসের সামনে বাবা সিদ্দিকীর ওপর গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতকারী। এ সময় লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বলিউড ভাইজানখ্যাত সালমান খান।

হত্যার খবর শোনামাত্রই শনিবার গভীর রাতে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ছুটে যান সালমান। গুলিতে ঝাঁজরা নেতা। তাই নিরাপত্তা নিয়ে কি আতঙ্কে ভুগছেন বাবা সিদ্দিকী ঘনিষ্ঠ এ অভিনেতা? তিনটি গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গেছেন সাবেক কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকী। নিরাপত্তার কারণে লীলাবতী হাসপাতালে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল সালমানকে। কিন্তু ‘ভাইজান’ কি ভয় পাওয়ার পাত্র?

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মারা যাওয়ার ১২ ঘণ্টা আগেও টের পাননি বাবা সিদ্দিকী। সামাজিকমাধ্যমে সবাইকে দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই দশমীর রাতে সাবেক মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী নিহত হন আততায়ীর গুলিতে। এ খবর শোনার পরই ‘বিগ বস ১৮’-র শুটিং বন্ধ করে লীলাবতী হাসপাতালের পথে রওনা দেন সালমান খান। কিন্তু এ সময় তার পক্ষে হাসপাতালে যাওয়া কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্ন তোলা হয়। সালমানের মাথার ওপরেও মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে। 

জানা গেছে, এভাবে বাবা সিদ্দিকীর ওপর হামলার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলিউডে। কারণ রোববার সকালে সিদ্দিকী খুনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। যে দুজনকে ধরা হয়েছে, তারা স্বীকার করেছে যে, তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। লরেন্স বিষ্ণোই লাগাতার সালমানকে খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে তাই ভাইজানের পরিবারও অস্বস্তিতে। সালমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন নিহত নেতা বাবা সিদ্দিকী।

জানা গেছে, প্রতি বছর ইফতারে জমকালো পার্টি দিতেন বাবা সিদ্দিকী। সেখানে দেখা মিলত বলিউডের বড় বড় তারকাদের। কলকাতা থেকে উড়ে যেতেন অভিনেত্রী ঋতাভরি চক্রবর্তী। এই পার্টিতেই নিহত নেতা বাবা সিদ্দিকী সালমান-শাহরুখ খানের মনোমালিন্য মিটিয়েছিলেন। সব ব্যস্ততা সরিয়ে সালমান সিদ্দিকীর দেওয়া ইফতার পার্টিতে যোগ দিতেন। তাই বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বিচলিত হবেন—এটাই স্বাভাবিক। সেই জায়গা থেকেই তিনি শোকের খবর শুনে রিয়্যালিটি শোর শুটিং মাঝপথে বন্ধ করে দেন।

গুলিবিদ্ধ নেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে পৌঁছানোর জন্য তড়িঘড়ি রওনা দেন সালমান। চোখমুখ থমথমে ছিল এ অভিনেতার। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি হাসপাতালে পৌঁছে যান। সালমান ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় দত্ত, সপরিবার শিল্পা শেঠিসহ বলিউডের তারকারা। সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে, শিল্পা হাসপাতালের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ এপ্রিল ভোরে বান্দ্রায় সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় দুই বন্দুকবাজ। মুম্বাই পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে বলা হয়েছে— সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ভিকি গুপ্তা ও সাগর পালের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছিলেন জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।

সালমান বিগত সময়ে একাধিকবার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগীদের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। এবং যেখানে বলা হয়েছে যে, নিহত গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মতো তারও একই পরিণতি হবে। সালমান যখন থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন, তখন থেকেই অভিনেতার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সুরক্ষার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বাবা সিদ্দিকী।

এদিকে পাপারাজ্জিদের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় শিল্পা শেঠি দৃশ্যত চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না। গাড়ির মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এ সময় স্বামী রাজ কুন্দ্রাকেও দেখা যায়— এই কঠিন সময়ে স্ত্রীকে সঙ্গ দিতে।

গোটা ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে রীতেশ দেশমুখ বলেন, ‘এ জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে’।

বান্দ্রা পশ্চিমের তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকী কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃতীয় অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ সূত্রেই আরও জানা গেছে যে, বাবা সিদ্দিকীকে ১৫ দিন আগে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যার পরে তার নিরাপত্তা ওয়াই ক্যাটাগরিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম