ছবি : সংগৃহীত
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে টালিউড অভিনেতা সোহমের ছবি মুক্তি পেয়েছে। এ নিয়ে তিনি বলেন, আমি তো নিজের ইন্ডাস্ট্রিতেই রাজনীতির শিকার। পরিবেশক, হল মালিকরা ‘শাস্ত্রীকে’ ভালো শো টাইম দিলেন না।
আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, পূজায় ছবি মুক্তি পাবে শুনলেই সব বয়সের পরিচালক, অভিনেতা ও প্রযোজক উত্তেজনায় টানটান। হবেন না-ই বা কেন— কজনের ভাগ্যে এই সুযোগ ঘটে? ‘শাস্ত্রী’ আমায় সেই সুযোগ করে দিয়েছে।
প্রযোজক সোহম চক্রবর্তী এই প্রথম পূজায় ছবিমুক্তির গৌরব অর্জন করল। তিনি বলেন, ছবি মুক্তির আনন্দ-উত্তেজনায় রাতে ঘুমাতে পারিনি। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ থাকল কই? সোহম বলেন, বাকিদের মতো আমিও অপেক্ষা করেছিলাম— নির্দিষ্টসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহ পাব। বাড়তি পাওনা নন্দন, রাধা স্টুডিওর মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহ। বিধিবাম, নন্দন বা রাধা স্টুডিওতে ‘শাস্ত্রী’ শো পায়নি। অবশ্য বাকি দুটি বাংলা ছবি ‘টেক্কা’ আর ‘বহুরূপী’ও পায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
এ অভিনেতা বলেন, সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল আমার সঙ্গে। অনেকেই এতে রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন। অনেকে বলছেন— মিঠুন চক্রবর্তী সংক্রান্ত বিতর্ক এড়াতেই নাকি বাকি ছবি দুটিকে নন্দন বা রাধা স্টুডিওতে শো দেওয়া হয়নি। এ অভিনেতা বলেন, এ বিষয়ে আমারও বক্তব্য আছে। তাই আনন্দবাজার অনলাইনেই কলম ধরলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে একটাই কথা বলেছেন— বিনোদন দুনিয়া রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এখানে কে কোন রাজনৈতিক দলে বা মতে বিশ্বাসী, সেটি দেখা হবে না। আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে মানি। তাই দেবদা বা আমি মিঠুনদার সঙ্গে অনায়াসে কাজ করি। ভিন্ন রাজনৈতিক মত হওয়া সত্ত্বেও।
কিন্তু ছিদ্রান্বেষীরা কি এত সহজে মানেন? তাদের যুক্তি— পরিচালক অনীক দত্তের পরে মিঠুন চক্রবর্তী নাকি শাসক দলের রাজনীতির বলি।
দাবির সূত্রপাত, মিঠুনদা-দেবদা অভিনীত ‘প্রজাপতি’ নন্দনে জায়গা পায়নি বলে। তারা এটা ভুলে গেছেন, সুমন ঘোষ পরিচালিত ‘কাবুলিওয়ালা’ কিন্তু নন্দনে জায়গা পেয়েছিল। এ ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মিঠুনদা-ই। ফলে নন্দনে তিনি রাজনীতির শিকার— এ কথা মানতে পারছি না। সোহম বলেন, এটা বলতে পারি— নন্দন নিয়ে আমারও আশা ছিল। কারণ ওই প্রেক্ষাগৃহের নির্দিষ্টসংখ্যক দর্শক রয়েছেন। ৯০০ আসনের এই প্রেক্ষাগৃহে ছবিমুক্তি মানে বাণিজ্যে টাটকা অক্সিজেন। কিন্তু নন্দন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপরে আমার হাত নেই।