দুই বাংলার শিল্পীদের দাম্পত্য টেকে না কেন, প্রশ্ন তসলিমার
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এই দুই দেশের মধ্যে শিল্প-সংস্কৃতির আদান-প্রদান হাজার বছরের। একটা সময় ছিল যখন দুটো দেশের মধ্যে ছিল না কোনো সীমানা প্রাচীর। একটাই ছিল মানচিত্র। তবে এখন মাঝখানে নাক উঁচিয়ে রয়েছে পাহারার কাঁটাতার। কিন্তু সেই কাঁটাতারের দরজা খুলে বারবার হৃদয়ের ডাকে দুই বাংলার তারকারা সাড়া দিলেও সেটা তেমন একটা সুখকর ছিল না।
কবীর সুমন-সাবিনা ইয়াসমিন থেকে অর্ণব-সাহানা, সৃজিত-মিথিলা অনেকেই এমন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। পাশাপাশি থাকতে চেয়েছেন। কিন্তু এক ছাদের নিচেই বাকিটা জীবন কাটাতে পারেননি।
সম্প্রতি দুই বাংলার তারকাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বললেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। দুই বাংলার শিল্পীদের দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বিতর্কিত এই লেখিকা সরাসরি কবীর সুমন ও সাবিনা ইয়াসমিনের নাম উল্লেখ করেছেন তার পোস্টে।
২০০০ সাল নাগাদ সাবিনাকে বিয়ে করেছিলেন সুমন। তার কিছু দিন আগে সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে হয়েছিলেন কবীর সুমন। তবে বিয়েটা টেকেনি বেশি দিন। বহু বছর হল বিচ্ছেদ হয়েছে সুমন-সাবিনার।
সে প্রসঙ্গ সামনে রেখেই তসলিমা প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার দাম্পত্য জীবন নিয়ে। তবে কি বিচ্ছেদের পথে তারাও!
সুমন-সাবিনার দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানাভাবে জলঘোলা হয়েছে। এখন সুমন আছেন কলকাতায়, সাবিনা ফিরে গেছেন নিজের দেশে। এই ঘটনার বহু বছর পর কূটনৈতিক সীমানা ছাড়িয়ে ফের দু’টি মন এক হয়েছিল।
২০১৯ সালে বিয়েও করেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা। কিন্তু তাদের সম্পর্কেও কি মেদ জমলো এবার? সেই প্রশ্ন তুলে তসলিমা সামাজিক মাধ্যমে লিখেন, বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের মধ্যে রোমান্টিক বা বৈবাহিক সম্পর্ক কেন টিকছে না? সাবিনা ইয়াসমিন আর কবীর সুমন বিয়ে করলেন। বিরাট হইচই হল। দু’জনে কিছুদিন একসঙ্গে গান গাইলেন। এরপর নিস্তব্ধতা। যে যার মতো যার যার দেশে জীবনযাপন করছেন। সাবিনা আর সুমনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক অবশিষ্ট রয়েছে বলে মনে হয় না।
তিনি লিখেন, এরপর সৃজিত আর মিথিলা বিয়ে করলেন। বিরাট হইচই হল। দু’জনে কিছু দিন একসঙ্গে চলাফেরা করলেন। এরপর নিস্তব্ধতা। যে যার মতো জীবন-যাপন করছেন। সৃজিত আছেন তার ১০-১২টা সাপ নিয়ে, আর মিথিলা তার কন্যা নিয়ে। মিলন থাকলে বিচ্ছেদ থাকে, এ নতুন কিছু নয়।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতায় যাতায়াত কমেছে মিথিলার। চাকরির কাজে বেশিরভাগ সময় কাটে তানজানিয়ায়। সৃজিতের কর্মজগৎ কলকাতা-মুম্বাইয়ে মিলেমিশে। বিয়ের আগে সৃজিত তার কর্মজীবনের জন্য যতটা প্রচারের থাকতেন, প্রেম জীবনের জন্যও ততটা।
২০২৩ সালের পর থেকেই মিথিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে মনে হয়। মেয়েকে নিয়ে কখনও নিজের দেশে, কখনও অন্য মহাদেশে থাকেন মিথিলা।
শোনা যায়, সৃজিত নাকি প্রায় সাতটি সাপ নিয়ে সংসার করছেন। মিথিলা মাঝে একবার কলকাতায় ঝটিকা সফরে এসে জানিয়েছিলেন, সৃজিত নাকি তার সাপদের নিয়ে বেশ ব্যস্ত। যদিও বিচ্ছেদের জল্পনা প্রতিবারই উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। কলকাতা না থাকার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন কর্মব্যস্ততা।
এবার তসলিমার মন্তব্যে যেন ফের জোরালো হয়ে উঠলো তাদের বিচ্ছেদের জল্পনা। দুই দেশে নাগরিকের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী তসলিমা শেষে সংযোজন করে লিখেন, দুই দেশের মানুষের মধ্যে হৃদয়ের বন্ধন দৃঢ় হলে অসাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন চমৎকার হতে পারত।