Logo
Logo
×

বিনোদন

রণবীরের পর অমিতাভকে এক হাত নিলেন মুকেশ

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম

রণবীরের পর অমিতাভকে এক হাত নিলেন মুকেশ

বেফাঁস মন্তব্যের জন্য হরহামেশাই চর্চায় থাকেন নব্বইয়ের দশকে ছোটপর্দায় ঝড় তোলা ‘শক্তিমান’  মুকেশ খান্না। রণবীর সিংয়ের নগ্ন ফটোশুট নিয়ে হালে কড়া কথা বলে চর্চায় থেকেছেন মহাভারতের ভীষ্ম। এবার তার নিশানায় শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন।

মুকেশ খান্না বলেন, অভিনয় জীবনের প্রথম পর্যায়ে অমিতাভ বচ্চনকে নকল করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। বর্ষীয়ান অভিনেতা এমন একটি সময়ের কথা স্মরণ করেন, যখন খোদ অমিতাভ ভেবেছিলেন যে মুকেশ তাকে নকল করে জনপ্রিয় হতে চাইছেন। 

মুকেশ খান্না তার সিনেমায় অমিতাভকে নকল করার অভিযোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, মিডিয়া একবার মিঠুন চক্রবর্তীকে 'গরিবের অমিতাভ বচ্চন' বলেছিল। আমি জানি না, তিনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। তবে যদি আমাকে এটি বলা হতো, তবে আমি বলতাম— চুপ করুন। তারা বলত, আপনি অমিতজির মতো দেখতে, আপনি তাকে নকল করেন। আমার অনেক চলচ্চিত্র ফ্লপ হয়েছিল সে কারণে।

এখানে একমাত্র সফলতাই শেষ কথা! যখন মহাভারত হয়েছিল, তখন কেউ আমাকে অমিতাভ বচ্চনের তকমা দেয়নি, যা আমার ফিল্ম ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে অনেক ঘটেছে। লোকেরা বলত— তুমি সফল হওনি। কারণ তোমাকে অমিতাভের মতো দেখতে লাগে এবং এখন যখন অমিতাভ বচ্চন নিজেই বলেছে যে, তুমি তাকে নকল কর, তোমার ক্যারিয়ার শেষ।

অমিতাভ বচ্চনকে নকল করা প্রসঙ্গে মুকেশ খান্না বলেছিলেন, তিনি (অমিতাভ বচ্চন) এটি বলেছিলেন। তবে আমি কি তার কারণে ফ্লপ হব? অমিতজি কে যে, আমার ক্যারিয়ার আটকাবে? আমার এক বন্ধু আমাকে বলেছিল সে অমিতজির সঙ্গে একটি চলচ্চিত্র দেখছিল। এটি একটি ড্রাইভ-ইন থিয়েটার ছিল…. (ছবির ফাঁকে) আমার বিজ্ঞাপন এলে অমিতাভ বচ্চন তা দেখে বলেন, ‘সালা কপি করতা হ্যায়।’

বহু বছর পর কয়েকজন ইউটিউবার এই উদ্ধৃতিটি গ্রহণ করে লিখেছিলেন— ‘অমিতজির এই এক লাইনের জন্যই আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে। প্রত্যেক অভিনেতাই অন্য অভিনেতার দ্বারা অনুপ্রাণিত।

এই যেমন মনোজ কুমার, রাজেন্দ্র কুমার— দিলীপ কুমারের দ্বারা অনুপ্রাণিত। শাহরুখ দিলীপ কুমারের দ্বারা অনুপ্রাণিত। এমনকি অমিতাভ বচ্চনের প্রাথমিক ভূমিকাগুলোতেও কারুর দ্বারা অনুপ্রাণিত। কারণ আপনি যা দেখেন তা থেকে গ্রহণ করেন।

সৌগন্ধ', 'সওদাগর', 'হেরা ফেরি', 'প্ল্যান'-এর মতো হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন মুকেশ খান্না। যদিও মহাভারত ও শক্তিমানের মতো দূরদর্শনের জনপ্রিয় শোর জন্যই বিখ্য়াত তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম