সারিকা-ইমনের মায়া নিয়ে যা বললেন রায়হান রাফী
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
ঢালিউডে বিঞ্জ ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে বিউটি ব্র্যান্ড লিলি নিবেদিত ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’।
এটি পরিচালনা করেছেন ‘তুফান’খ্যাত নির্মাতা রায়হান রাফী। এ উপলক্ষ্যে গতকাল আড়ম্বপূর্ণ এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় রিমার্ক এইচবির সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর হাসান ফারুকসহ লিলি টিমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক বিনোদন জগতের তারকা।
সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এ ওয়েব ফিল্মের কেন্দ্রীয় অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী সারিকা। এ ছাড়া ছিলেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, সামিরা খান মাহি, রোকাইয়া জাহান চমকসহ অনেকেই। বিশেষ প্রদর্শনী শেষে মায়া নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন বিদ্যা সিনহা মিম, দীঘি।
মায়ার অভিনেতা ইমন বলেন, এটি আমার প্রথম ওটিটি কন্টেন্ট। তাই আমার জন্য— মায়া সত্যিই মায়াময়। রায়হান রাফী তার অপূর্ব নির্মাণশৈলী দিয়ে এটি তৈরি করেছেন। আমি আশা রাখি মায়া দর্শকদের ভালোবাসায় একটি সুপারহিট ওটিটি কন্টেন্ট হিসেবে জায়গা করে নেবে।
এ ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’ একটি পারিবারিক গল্পে আবর্ত। পরিবারের দাম্পত্য জীবনে নানান টানাপোড়েন নিয়ে এটি এগিয়ে যাবে। তার পরও অদ্ভূত এক মায়ায় দুজন মানুষ সংসারে মজে থাকে। সারাজীবন একসঙ্গে কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমন গল্পকে উপজীব্য করেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’।
মূলত মাদক, নারীর সংগ্রাম, পারিবারিক টানাপোড়েনসহ সমাজের নানান বাস্তব ঘটনা কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ফিল্মটি। যাতে দুটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন ইমন ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। ওটিটির জন্য এটি নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফী।
এ ওয়েব ফিল্ম সম্পর্কে পরিচালক বলেন, এটা আমার একদমই অন্যরকম একটি ছবি। আপনারা জানেন— আমি সিনেমার পাশাপাশি ওয়েব ফিল্ম বানাই। এটি তুফানের আগেই বানিয়েছিলাম। এটা বানানোর আগে চিন্তা করছিলাম এই সিনেমাতে আমি এমন দুজনকে কাস্ট করব, যারা একসময়ে বড় স্টার ছিল, অনেক জনপ্রিয় ছিল এবং এখনো কাজ করছে। চিন্তামতো ওই সময়ের একটা জনপ্রিয় জুটিকে নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করেছি। তারা হলেন ইমন-সারিকা। তিনি বলেন, আমার চ্যালেঞ্জ ছিল যে এই দুজনকে নতুন করে আবিষ্কার করার। সেটা আমি করেছি। এখন বাকিটা দর্শক দেখে জানাবেন।
রায়হান রাফী বলেন, যারা তুফান দেখেছেন, তারা মায়া দেখবেন। ওটিটির হলেও এটি দারুণ ও মানবিক গল্পের ছবি। যে গল্প দেখে কখনো আপনি আবেগপ্রবণ হবেন, আশপাশের অনেক কিছুর সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন।’