‘জ্যোতিরা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আজ নিজ কর্মস্থল শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে সহকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। একপর্যায়ে শিল্পকলা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমবার শিল্পকলা একাডেমিতে যান জ্যোতি। অভিনেত্রী অফিসে প্রবেশের পরই সহকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তিনি বাধ্য হয়ে শিল্পকলা একাডেমি থেকে চলে আসেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর আইরিন পারভীন লোপা গণমাধ্যমকে বলেন, জ্যোতি অফিসে আসায় আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি কীভাবে অফিসে আসেন, যিনি স্বৈরাচার সরকারের হয়ে কথা বলেছেন। যারা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে উৎসাহিত করেছেন, যারা রক্ত ঝরার জন্য দায়ী, তাদের আমরা সহকর্মী হিসেবে চাই না।
তিনি আরও জানান, জ্যোতি আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর অফিসে প্রবেশ করেন। আসার পরই বাইরে বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মীদের জড়ো হতে দেখে জ্যোতি দরজা বন্ধ করে দেন।
‘আমরা তাকে বলেছি অফিস থেকে চলে যেতে। কারণ, তিনি “আলো আসবেই” নামে একটি গ্রুপে যুক্ত হয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে কথা বলেছেন। এমন লোক আমরা দেখতে চাই না’।
জ্যোতির সঙ্গে কী কথা হয়েছে-জানতে চাইলে আইরিন পারভীন বলেন, এখনো তিনি নিজেকে সরকারের নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা ভাবছেন। তার অধিকার রয়েছে অফিসে আসার। যে সরকার নেই, সেই সরকারের দাপট দেখাচ্ছেন। আমরা তাকে সসম্মানে চলে যেতে বলেছি।
গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন জ্যোতি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে ‘আলো আসবেই’ নামে হোয়াটসআপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে সরব ছিলেন তিনি।