Logo
Logo
×

বিনোদন

ব্রাহ্মণ থেকে ধর্ম বদলে খ্রিস্টান, সীতারামকে নিয়ে যা বললেন স্বরা

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম

ব্রাহ্মণ থেকে ধর্ম বদলে খ্রিস্টান, সীতারামকে নিয়ে যা বললেন স্বরা

বাক্সবন্দি সীতারাম ইয়েচুরির দেহ। বাক্সের ওপরে সাজানো সাদা ফুল। এটি দেখেই নেটিজেনদের একটি অংশ প্রশ্ন তুলতে থাকেন— ব্রাহ্মণ পরিবারের জন্মানো সীতারাম ইয়েচুরি কি তাহলে খ্রিস্টান হিসেবে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন?

হিন্দুস্তান টাইমস সূত্র জানায়, সম্প্রতি সীতারাম ইয়েচুরির শেষ যাত্রার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে— সাদা বাক্সে বন্দি এই বাম নেতার দেহ। আর বাক্সের ওপর সাজানো সাদা ফুল। এটা দেখেই নেটিজেনদের একাংশ প্রশ্ন তুলতে থাকেন— ‘ব্রাহ্মণ পরিবারের জন্মানো সীতারাম ইয়েচুরি কি তাহলে খ্রিস্টান হিসেবে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন?’

তবে শুধু প্রশ্ন তুলেই ক্ষান্ত হননি বিরোধীরা। দাবি করা হয়— খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণেই নাকি তিনি ছিলেন এত হিন্দুবিদ্বেষী। সে রকমই কিছু পোস্ট শেয়ার করে টুইট করলেন এবার অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর।

এক্স হ্য়ান্ডেলে স্বরা লিখেছেন— ‘সঙ্গীদের (পড়ুন বিজেপি সমর্থক) অজ্ঞতা আমাকে বিস্মিত করে এভাবেই। পুরোটা পড়বেন-—

১. খ্রিস্টান হওয়ার মধ্যে কোনো অপরাধ নেই, যদি আধ্যাত্মিকভাবে এই ধর্মের প্রতি আপনার ঝোঁক তৈরি হয়।

২. আমার মনে সন্দেহ আছে যে— কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তার দেহ একটি বাক্সে রয়েছে। কারণ এটি চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার জন্য এইমসকে দান করা হয়েছে! এটি সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ তথ্য।

তিনি সত্যিই নিঃস্বার্থ মানুষ ছিলেন। মৃত্যুর পরও মানবতার উন্নতির জন্য ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ! এদিকে একজন কমিউনিস্ট নেতার মৃত্যুকে সাম্প্রদায়িক করে তোলে যারা, তারা মানুষ বলার যোগ্যতা রাখে না!!’

১২ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সিপিএম নেতা। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এ ভর্তি ছিলেন শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে। দীর্ঘ ২৫ দিনের যুদ্ধ শেষে প্রয়াত হন তিনি।

১৯৫২ সালের ১২ আগস্ট ইয়েচুরির জন্ম মাদ্রাজের (অধুনা চেন্নাই) এক ব্রাহ্মণ পরিবারে। স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করার সময় জেএনইউয়ে থাকাকালীনই ইয়েচুরির বামপন্থি ছাত্ররাজনীতিতে যোগ। তার ধর্ম পরিবর্তনের কোনো খবর আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও নেই। তিনি নিজেও কখনো এ রকম কোনো বক্তব্য পেশ করেননি। মৃত্যুর পর দিল্লি এইমসের অ্যানাটমি বিভাগে সীতারামের দেহ তুলে দিয়েছিল তার পরিবার। ছিলেন সেখানে পলিটব্যুরোর সদস্যরাও। 

দেহদান করার আগে সীতারামের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই নিয়ে যাওয়া হয় বসন্তকুঞ্জে তার বাসভবনে। তারপর সবশেষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এইমসে।


Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম