বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য দীর্ঘ চার বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর তাদের এ বিচ্ছেদের মূল কারণ ছিল— সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন।
অবশ্য পরে এক সাক্ষাৎকারে নাগা চৈতন্য স্বীকার করে বলেছিলেন— সামান্থাকে তিনি ঠকিয়েছেন। নাগা বলেন, জীবন একটাই— সব রকম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। তবে এখন বয়স হয়েছে, নিজেকে বুঝতে শিখেছি। এখন মনে হচ্ছে, এবার থিতু হওয়ার সময় এসেছে। তবে হ্যাঁ— একটা সম্পর্কে থাকার সময় আমি ঠকিয়েছি তাকে।
বহু আলোচনা-সামালোচনার মাঝে অবশেষে গত ৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বাগদান সারেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধুলিপালা। বাগদানের ছবি নিজের সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করেন নাগার বাবা নাগার্জুন আক্কিনেনি।
এর পর থেকেই সাবেক স্ত্রী সামান্থাকে নিয়ে চলছে সামাজিকমাধ্যমে জল্পনা-কল্পনা। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সাবেক স্বামীর নতুন বিয়ে নিয়ে তার মন্তব্য জানার জন্য। তার ভক্ত–অনুরাগীরা মুখিয়ে আছেন কিছু একটা শোনার অপেক্ষায়। এমন জল্পনা-কল্পনার মাঝেই সামাজিকমাধ্যমে একটি পোস্ট করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। পোস্টে ভালোবাসা ও সম্পর্ক নিয়ে তিনি লিখেছেন— ভালোবাসার আরেক নাম ত্যাগ। এটি অর্থ এমন হতে পারে— সম্পর্কে একজন নিজের সবটা উজাড় করে দেন।
কেউ কেউ জীবনসঙ্গীর মন জয় করার জন্য অনবরত চেষ্টা করে যান। অধিকাংশ প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগ যেন তার দিক থেকেই আসে। কিন্তু অন্যজন সেই সময় নিজেকে ভালোবাসায় মুড়ে রাখতে পছন্দ করেন। ভালোবাসা পাওয়াই তার উদ্দেশ্য— অধিকাংশ সম্পর্কের কাঠামোই এমনই।
নিজের মতামত স্পষ্ট করে এ অভিনেত্রী লিখেছেন— সবাই ভাবে বন্ধুত্ব বা যে কোনো সম্পর্কেই আদান–প্রদানের একটা সমীকরণ থাকে। তুমি কিছু দেবে, আমি কিছু দেব। কিন্তু বছরের পর বছর আমি একটা বিষয় শিখেছি— ভালোবাসা এমনই যে তুমি শুধুই দিয়ে যাবে; বরং তুমি যত দিন না আমাকে ভালোবাসা ফেরত দিচ্ছ, তত দিন আমিই শুধু ভালোবেসে যাব।
সেই সঙ্গে কিছু মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করে সামান্থা বলেন, আমি সত্যি কৃতজ্ঞ যে কিছু মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। আমি তাদের পাল্টা ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে পারি না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর অভিনেতা নাগা চৈতন্যকে বিয়ের মধ্য দিয়ে অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু হয়েছিলেন ‘আক্কিনেনি’ পরিবারের একজন— সামান্থা আক্কিনেনি। চার বছরের সংসারের পর ২০২১ সালে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এ দম্পতি। বিচ্ছেদের মাত্র দুই মাস আগেও সন্তান নিতে চেয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু তখনই তাদের জীবনে ঘটে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন।