ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যাচারের দাঁতভাঙা জবাব দিলেন ফারুকী
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের কিছু স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংখ্যালঘুদের বাসস্থান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যেসব সংখ্যালঘুরা এসব হামলার শিকার হয়েছে, তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ধর্মীয় কারণে নয়, বরং তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যমে এই ইস্যুটি নিয়ে ব্যাপকভাবে ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার যেসব ছবি এবং ভিডিও ভারতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে এবং সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে, তার বেশিরভাগই ভুয়া। এই বিষয়ে ফেসবুকে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজের এক কর্মসূচিতে ছাত্র হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। অথচ ভারতীয়রা সামাজিক মাধ্যমে তাকে ‘সাহায্যপ্রার্থী হিন্দু নারী’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে পোস্ট শেয়ার করছে।
সত্যি কথা বলতে তো ভয়ের কিছু নেই: সাদিয়া আয়মান
এমন একটি পোস্টের স্ক্রিনশট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে ফারুকী লিখেছেন, ‘হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল বাঁধন, অথচ একটি এক্স আইডিতে তাকে সাহায্যপ্রার্থী হিন্দু নারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। সার্কাস। আপনাদের পরিস্থিতি আরেকটু ভালোভাবে বোঝানোর জন্য বলছি, বাঁধনের পেছনে চশমা পরা যে লোকটি দাঁড়িয়ে আছেন, পিপলি আর খান নামে সে ব্যক্তি হাসিনাকে নিয়ে একটি সিনেমাও বানিয়েছিলেন। আন্দোলনে তিনিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।’
এছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানকে ‘ইসলামপন্থিদের আন্দোলন’ হিসেবে দেখানোরও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই চিত্র পরিচালক, ‘প্রথম দিন থেকেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবং (ভারতের) সামাজিক মাধ্যমের একটি অংশ জনতার বিপ্লবকে ইসলামপন্থিদের আন্দোলন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে, এটা স্রেফ মিথ্যাচার।’
শেখ হাসিনাকে উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের প্রতিমূর্তি হিসেবে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারের যে চেষ্টা চলছে, তারও বিরোধীতা করেছেন ফারুকী। এক্ষেত্রে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা শশী থারুরের মন্তব্যকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘দয়া করে বুঝার চেষ্টা করুন, সে (শেখ হাসিনা) একজন অত্যাচারী। শশী থারুর ঠিক বলেছেন যে, তার সময় শেষ হয়ে গেছে। তার হাত রক্তে রঞ্জিত। এই সুযোগে ভারতের উচিৎ ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা এখনো সে চেষ্টা করেনি।’
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একাত্মতা প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যম সক্রিয় ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়া দীর্ঘসময় তার ছবি ‘শনিবার বিকেল’ আটকে রাখে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।