দেশের সমসাময়িক ঘটনাবলি নিয়ে গতকাল ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি। তার এই বক্তব্য ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এই তালিকায় রয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। ড. ইউনূসের ওই সাক্ষাৎকার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরে এই নোবেলজয়ীর প্রশংসায় মেতে ওঠেন তিনি।
চমক লিখেছেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুরোটা সময় বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করে গেছেন। যেটা আমার জন্মে আর কোনো ক্ষমতাবান মানুষের মুখে শুনি নাই।
উনি উত্তর দিলেন, বহুদিন পর দেশের মানুষ সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছে। তারা বিষয়টি উপভোগ করছে। আমরাও এই স্বাধীনতা উপভোগ করতেছি।
স্যার বললেন, এর একমাত্র দায় শেখ হাসিনার। সে দুঃশাসনের মাধ্যমে পিতার ইমেজ ধ্বংস করছে। এর ফলে এই ভাঙচুর হচ্ছে। সঞ্চালক এবার জানতে চাইলো, এই লুটতরাজের কারণ কী? এইটা কীভাবে দেখেন?
ড. ইউনূস একবারও মানুষের দোষ দিলেন না। বললেন, এইটা হাসিনার দুঃশাসনের ধারাবাহিকতা। মানুষ ভোট দিতে পারে নাই বহু বছর। এই ক্ষোভ তাদের মধ্যে থাকাটাই স্বাভাবিক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে এসব বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপ।
এরপর উনি ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো চেষ্টা হলে ভারত, মায়ানমার, সেভেন সিস্টারও অক্ষত থাকবে না। খেয়াল করেন, সে ভারত আর সেভেন সিস্টার আলাদা আলাদা উচ্চারণ করেছে। হুমকিটা কত ব্যাপক, বুঝতেসেন তো?
সারাজীবন যে কোনো আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সন্ত্রাসী তকমা শুনে এসেছি। আমার ভাইদের মরদেহ হাসপাতালে রেখে মেট্রোরেল ধরে খুনি স্বৈরাচারীর কান্নার নাটক দেখেছি।
বিদেশি সাংবাদিকদের সামনে দেশের মানুষকে সন্ত্রাসী বানানোর কুৎসিত চেষ্টা দেখে দেখে বড় হয়েছি।
আমাদের কখনও কেউ রক্ষা করে নাই, ওউন করে নাই, এতো মায়া দিয়ে কথা বলে নাই আমার জন্য। অথচ আজ ড. ইউনূস মানুষকে ছোটো করেন নাই। আমাদের রাগটা বুঝেছেন। আমাদের ওউন করেছেন। আমাদের থ্রেটকে মোকাবিলা করেছেন পাল্টা থ্রেট দিয়ে।