Logo
Logo
×

বিনোদন

কোটা ইস্যুতে আলোচনায় মেহজাবিনের ফেসবুক পোস্ট

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১০:২৪ এএম

কোটা ইস্যুতে আলোচনায় মেহজাবিনের ফেসবুক পোস্ট

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি কোটা ইস্যুতে অনেক শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখই কথা বলেছেন এ তালিকায় রয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। প্রায় এক দশকের মতো ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় কাজ উপহার দিয়েছেন যিনি। সম্প্রতি মেহজাবিন তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, হত্যা ও গুলি নিয়ে। পোস্টটি গত ১৮ জুলাই করা হলেও নতুন করে আলোচনায় এসেছে বিষয়টি। 

মেহজাবিন তার পোস্টে পবিত্র কুরআন হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ছোটবেলা থেকে জেনেছি, পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র নারীর গায়ে হাত তোলা সমর্থন করে না। আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থও কখনো নারীর প্রতি সহিংসতা শেখায়নি। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো’। হাদীসে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক ভালোমানুষ তারাই, যারা নারীদের সঙ্গে সদাচরণ করে’। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য, গণমাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যমে আজকাল এর ভিন্ন চিত্র, মর্মান্তিক সব ভিডিও চিত্র দেখতে হচ্ছে। একজন নয়, দুইজন নয়, আমারই অসংখ্য বোনের ওপর নির্বিকার ভঙ্গিতে হামলা চালানো হচ্ছে, রক্তাক্ত করা হচ্ছে। 

‘লুঙ্গি খুলে ধর্ম চেক করার মতো ছেলেমেয়েদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে’

নারীর গায়ে হাত ও আবু সাঈদ হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, কী নির্মম, কী নৃশংস! ন্যায়-অন্যায়ের প্রসঙ্গে পরে আসছি, তবে আমার অবস্থান থেকে বলবো: সর্বোচ্চ কোনো যুক্তির অজুহাতেও নারীর প্রতি এই সহিংসতা মেনে নেয়া যায় না। ‘না’ মানে ‘না’; কক্ষনো না। ছাত্র-ছাত্রীরা কী-ই বা করেছিল? তারা তাদের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছিল। কোটা সংস্কারের দাবি তুলেছিল। তাই তো? একটি গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধিকারের দাবি যে কেউ তুলতে পারে। কিন্তু তাই বলে নারীর গায়ে হাত তোলা, ‘আবু সাঈদ’-এর মত সম্ভাবনাময় তরুণকে হত্যা করা-এসব কি সভ্যতার পর্যায়ে পড়ে? সমাধানের অন্য কোনো উপায় কি ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? পরিস্থিতি হয়ত আজ কিংবা কাল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু যে মায়ের বুক খালি হলো, যে পরিবারের মুখের হাসি চলে গেল, আমরা কি সেই শূন্যতা অন্য কিছুর বিনিময়ে পূর্ণ করতে পারবো? কক্ষনো না। 

 

তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী: শক্তি যত বড়ই হোক, ছাত্র সমাজের ওপর চড়াও হয়ে যুগে যুগে কেউ কখনো কিছুই অর্জন করতে পারেনি। তাহলে কেন এই ব্যর্থ আস্ফালন? মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ কিংবা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সবসময়ই বুকের ভেতর লালন করি। আমরা গর্ব করি বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু এই দেশে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করা যাবে না, অধিকারের দাবি তোলা যাবে না, সবকিছুর ঊর্ধ্বে যোগ্যতার পরিচয়টাকেই সবচেয়ে বড় করে দেখা যাবে না, প্রশাসনের চাওয়া-পাওয়ার বিরুদ্ধে গেলেই হামলার শিকার হতে হবে, অকাতরে অকাল প্রাণ বিলিয়ে দিতে হবে-এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন কি আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেখেছিলেন? আমার মনে হয় না।

মেহজাবিন আরও উল্লেখ করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে দুর্নীতি-প্রায় সব ইস্যুতেই তো আমরা চুপ থাকি। রক্ষক ভক্ষক হয়ে গেলেও আমরা নীরবে সয়ে যাই। অপেক্ষা করি, হয়ত একটা না একটা সমাধান আসবে। আজ না হলেও দুদিন পরে  আসবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম