আবেদ আলীর নামাজরত ছবি শেয়ার করে যা বললেন সোহানা সাবা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৮ এএম
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী ও দুই পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছেন সৈয়দ আবেদ আলী। বিশেষ করে ফেসবুকে বিভিন্ন সময় তার নামাজের ছবি, মানবিক গল্প ও সততার বাণী আলোচনার সৃষ্টি করেছে সর্বমহলে। প্রশ্ন উঠেছে, একজন গাড়িচালক হয়েও কীভাবে কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন তিনি।
যদিও এই গাড়িচালক গ্রেফতার হওয়ার পরেই সকলের কাছে এখন স্পষ্ট, অসৎ ও অসাধু পথ অবলম্বন করেই অর্থবিত্তের মালিক বনে গেছেন তিনি। যে কারণে আবেদ আলীর মতো অসৎ ব্যক্তিদের নিয়ে ধিক্কারে ফেটে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শাস্তি দাবি করেছে অপরাধীদের।
উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন ড্রাইভার আবেদ আলী
তাদেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সোমবার বিকালে ফেসবুকে আবেদ আলীর নামাজরত একটি ছবি শেয়ার করে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, যারা দেখিয়ে দেখিয়ে ধর্মচর্চার নামে বাড়াবাড়ি করে, পাশে মসজিদ কিংবা নামাজের স্থান রেখে রাস্তায়, খেলার মাঠে, সমুদ্র তটে নামাজ পড়ে ছবি দেয় সোশাল মিডিয়ায়, এদের মাঝে আমি কোনো ভালো মানুষ দেখি না। সবগুলোই বাটপার।
অভিনেত্রী আরও লেখেন, যারা শুক্রবার ‘জুম্মা মুবারক’ বলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়, আর যারা নিজের আমলনামা বাদ দিয়ে অন্যদের পোস্টে কমেন্ট করে -পরকালে দোজখে যাবে! আর দান খয়রাতের ছবি-হিসাব প্রচার করে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেগুলোকেও আমার একই ভণ্ড মনে হয়।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলী একজন ড্রাইভার হলেও তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য সামনে এসেছে। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। ছেলে ছাত্রলীগ নেতা, পড়েছেন বিদেশে, এরপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার ভেতর তার দুটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান বাড়ি রয়েছে এমন তথ্যও সামনে এসেছে।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন আবেদ আলী। আবেদ আলী সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত চলাফেরা করতেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেও উঠবস করতেন। তবে এসব করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে।