দেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে আয়ের দিক থেকে সকল সিনেমাকে পেছনে ফেলতে চলেছে শাকিব খানের ‘তুফান’। গেল ঈদুল আজহায় মুক্তির পর পরবর্তী চার সপ্তাহেও প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানছে সিনেমাটি।
সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সে এখনও তুফান জোয়ার বইছে। যে কারণে সিনেমাসংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, তুফান অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে ফেলবে।
ইতোমধ্যেই বিশ্বের ১৬টি দেশে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের এই সিনেমা। যেখানেও দর্শকদের বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে ছবিটি। সবকিছু মিলিয়ে কারও কারও দাবি, আয়ের দিক থেকে তুফান ১০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
‘তুফান’ ১০০ কোটির ব্যবসা এনে দিবে, এমনটি মনে করছেন শাকিব খান নিজেও। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নায়ক বলেন, তুফানের আয় ১০০ কোটি হবে।
শাকিব বলেন, আমার হিসেবে, এই সিনেমাই ১০০ কোটি হবে। দেশ বাড়ছে, কালেকশন বাড়ছে। সান ফ্রান্সিসকো থেকে সিঙ্গাপুর, দুবাই থেকে আমেরিকা এই ছবিটা হাউজফুল। আমি ‘প্রিয়তমা’-র সময়েই ডাবলিন বা ফ্রান্সের ছবির রেজাল্ট দেখেছি।
তুফান যখন ভারতে মুক্তি পেয়েছে তখন সেখানে মুক্তি পেয়েছে প্রভাস ও দীপিকার বিগ বাজেটের সিনেমা ‘কাল্কি’। তাদের পোস্টারের পাশে নিজের সিনেমার পোস্টার দেখে আপ্লুত শাকিব।
এই মেগাস্টার বলেন, এই ছবিটা প্রতিযোগিতা করছে প্রভাস-দীপিকা পাড়ুকোনের নতুন ছবির সঙ্গে। ওটার পাশে আমার ছবি দর্শক টানছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, স্পেনে। আমরা কিন্তু জিতেছি। মানুষের এত ভালোবাসা কেন আমার প্রতি, জানি না।
সিনেমা মুক্তির আগেই শাকিব বলেছিলেন, তুফান ১০০ কোটির ব্যবসা করলে তাকে ২৫ ভাগ দিতে হবে প্রযোজকদের। সেটাই আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শাকিব বলেন, ক্রমাগত চেষ্টা করছি, ‘বড়’ সিনেমা করতে। ‘প্রিয়তমা’ করার পর ইধিকা (পাল) কিন্তু বাংলাদেশে স্টার হয়ে গেছে। মিমি (চক্রবর্তী) আগে থেকেই স্টার। তারা বাংলাদেশে ভীষণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। আমরা সত্যিই বাংলা ছবিকে অনেক দূর নিয়ে যাবো। আর ওই যে শত কোটির ব্যবসার কথা বলেছি, ওটা কিন্তু হবে। তখন আমাকে ২৫ কোটি না দিলে প্রযোজকদের আমি দেখে নেব (হাসি)!