Logo
Logo
×

বিনোদন

তৈমুরকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাইফ-কারিনা

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম

তৈমুরকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাইফ-কারিনা

সেলিব্রেটিদের জীবন নিয়ে আগ্রহ থাকে পাপারাজ্জিদের। ফটো সাংবাদিকদেরও ক্যারিয়ারের বড় অবলম্বন তারা। তাই বলে জিমের ছবি, বাসা থেকে বের হওয়ার ছবি, ব্যক্তিগত ছবিও তোলা লাগবে? এসবের কারণে প্রাইভেসি বলতে কিছুই থাকছে না সেলিব্রেটিদের।

বলিউডের তারকা দম্পতি সাইফ-কারিনার জীবন অতিষ্ট করে ফেলেছেন ফটো শিকারিরা। ছেলে তৈমুরকে যেখানে পাচ্ছেন সেখানেই হামলে পড়ছেন ছবি শিকারিরা।এতে এই শিশুর কৈশোর বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে সাইফ-কারিনার দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

আনন্দবাজার সূত্র জানায়, বলিউডে একাধিক তারকা রয়েছেন, যারা ফটোসাংবাদিকদের দেখলেই দুর্ব্যবহার করেন। তাদের দেখলেই মেজাজ হারান বহু তারকা। তারকাদের জিম থেকে শুরু করে বিমানবন্দর— সর্বত্রই ধাওয়া করেন সাংবাদিকরা। এতে মোটেও সন্তুষ্ট নন তারকারা। কারণ বাড়ির বাইরে পা রাখলেই যেন ক্যামেরা তাড়া করে তাদের। 

এভাবেই তারকা দম্পতি সাইফ-কারিনার ছেলে তৈমুর ফটোসাংবাদিকদের নজরে পড়ে। সে কোথায় যাচ্ছে, কী করছে— প্রতিটা মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করতে চান তারা। কারণ চাহিদা আছে। তবে তৈমুরের ছবি জোগান দিতে গিয়ে তার শৈশবটাই নষ্ট করে দিতে বসেছিলেন ফটোসাংবাদিকরা। শেষে একটা সমাধানের পথ খুঁজে পান সাইফ-কারিনা।

সম্প্রতি সাংবাদিকরা রুদ্রমূর্তি দেখেছিল তৈমুরের। মায়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় যখন শত শত ক্যামেরা ঝলসে উঠছিল, ঠিক সেই সময় চিৎকার করে বলতে শোনা যায় তৈমুরকে— ‘থামুন! ছবি তুলবেন না।’ 

সে দিন এতটুকু ছেলের আচরণ সবাইকে অবাক করেছিল। এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, একদিন তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীরের ছবি তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়া সাংবাদিকদেরও আটকে ছিল তৈমুর।

কারিনার বড় ছেলেকে নিয়ে তার জন্মের পর থেকে ফটোসাংবাদিকদের অতি-উৎসাহ। সে কোথায় পড়তে যাচ্ছে, কোথায় খেলতে যাচ্ছে কিংবা স্কুলে যাচ্ছে, সেখানেই ধাওয়া করছেন সাংবাদিকরা। প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ছোট তৈমুর। মুম্বাইয়ের এক নামি ফটোসাংবাদিক নিজেই জানান, তৈমুরের ছবি তুলতে প্রতিদিন ফটোসাংবাদিকদের ভিড় থাকত তার বাড়ির সামনে। একবার পড়তে যাচ্ছে তৈমুর, পেছন থেকে ধাওয়া করেন জনা পঞ্চাশেক ফটোসাংবাদিক। তাতেই ঘাবড়ে যায় ছোট্ট তৈমুর। শুধু তা-ই নয়, ভয় পেয়ে যান তার নানিও। 

শেষে সাইফ আলি খানকে নামতে হয় ময়দানে। তিনি প্রায় সবাইকে ফোন করে অনুরোধ করেন, তৈমুর যাতে আর পাঁচটা বাচ্চার মতো বড় হয়ে উঠতে পারে, সে জন্য যাতে সহযোগিতা করেন ফটোসাংবাদিকরা। শেষমেশ সাইফের কথা রাখতে বাধ্য হন তারা। এখনো ছবি তোলেন, তবে আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম